শিশুর জন্ডিস হওয়ার কারণ ও চিকিৎসা
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
- নভেম্বর ২৮, ২০১৮
জন্ডিস যদি তিন সপ্তাহের বেশি সময় থাকে, তাহলে তা শিশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। কেননা,শিশুর শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি থাকলে তা শিশুর শ্রবণশক্তিসহ মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াস্ট্রিকসের মতে, সব শিশুদেরকেই জন্ডিস পরীক্ষা করানো উচিত। বিশেষ করে শিশুর বয়স ৩ থেকে ৫ দিন হলে তার জন্ডিস আছে কি না তা পরীক্ষা করা ভীষণ দরকার। শিশুর শরীরে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে সে জায়গা হলুদ হয়ে গেলে বুঝতে হবে তার জন্ডিস আছে। রক্ত পরীক্ষাসহ বেশ কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুর জন্ডিস আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
জন্ডিস হওয়ার কারণ:
১. অপরিণত বয়সে (৩৭ সপ্তাহের কম সময় মায়ের গর্ভে থেকে) জন্ম নিলে।
২. যেসব শিশু জন্মের পর নির্দিষ্ট সময়ে মায়ের বুকের দুধ পায় না।
৩. মায়ের রক্তের সঙ্গে যেসব শিশুর রক্তের ধরণ উপযুক্ত না।
৪. মায়ের শরীরে কোনো অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হলে।
৫. মায়ের লিভারের সমস্যা থাকলে।
৬. কোনো ইনফেকশন থাকলে।
৭. কোনো এনজাইমের ঘাটতি থাকলে।
৮. শিশুর লোহিত কণিকায় কোনো অস্বাভাবিকতা থাকলে।
চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন:
১. জন্ডিসের মাত্রা খুব বেশি ।
২. নবজাতকের শরীরে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর থাকলে।
৩. শিশুর শরীর বেশি হলুদ মনে হলে।
৪. শিশু মায়ের দুধ পান করতে না পারলে, দুর্বল মনে হলে ও সে যদি খুব বেশি কান্নাকাটি করে।
শিশুর জন্ডিসে চিকিৎসা: সাধারণত অল্প জন্ডিস থাকলে তা ধীরে ধীরে সেরে যায়। জন্ডিসের মাত্রা বেশি হলে ফটো থেরাপি দিতে হয়। এটা বেশ কার্যকর থেরাপি। এক্ষেত্রে শিশুকে শুধু ডাইপার পরিয়ে ও চোখে বিশেষ প্রতিরোধক গ্লাস দিয়ে নীল আলোর নিচে বিশেষ বিছানায় রাখা হয়। জন্ডিস বেশি হলে অনেক ক্ষেত্রে শিশুর শরীরে অল্প পরিমাণে রক্ত দিতে হয়। তবে জন্ডিস অল্প মাত্রায় থাকলে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ বার মায়ের দুধ পান করালে জন্ডিস ধীরে ধীরে সেরে যায়। এ ছাড়া শিশুকে প্রতিদিন সকালের রোদে কিছুক্ষণ রাখলে তার জন্ডিস সেড়ে যায়।
টি/আ