
যেভাবে বুঝবেন শিশু বুদ্ধিমান হবে
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
- ডিসেম্বর ১, ২০১৮
শিশুর জন্মের পর থেকে তার স্বভাব ও বিচিত্র অভ্যাসই বলে দিতে পারে সে বুদ্ধিমান হবে কিনা। কেননা, যে শিশু বড় হয়ে বুদ্ধিমান হবে সেটির নমুনা বা বৈশিষ্ঠ প্রকাশ পায় তার শিশুকালের কার্যকলাপের ওপর। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যা বুদ্ধিমান সন্তান হওয়ার লক্ষণ-
কথায় কথায় সন্তানের মুখে প্রশ্ন: কী, কেন, কীভাবে, কখন এমন সব প্রশ্ন লেগেই থাকে সন্তানের মুখে। কৌতূহলী শিশু মানেই, ধরে নেওয়া হয় তার বুদ্ধি অন্যদের চেয়ে বেশি।
দ্রুত অবস্থার পরিবর্তন: শিশুর বসতে শেখা, হামাগুড়ি দেয়া, দাঁড়াতে শেখা প্রত্যেকটিরই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। সন্তান যদি সেই সময়ে পৌঁছনোর কিছু আগেই শিখে ফেলে তা হলে তা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার অন্যতম লক্ষণ।
সহজে মানিয়ে নেয়া: অচেনা যে কারো সাথে শিশু যদি সহজেই মানিয়ে নিতে পারে তাহলে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আপনার সন্তান নিশ্চিতভাবেই অন্য শিশুদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে। বাড়িতে পোষা প্রাণি থাকলে তার প্রতিও শিশুর ব্যবহার লক্ষ্য রাখুন। এতে শিশুর সাহস ও মানসিক বিকাশের পরিমাপ বোঝা যায়।
কথা বলার প্রবণতা: এক বছরের কাছাকাছি সময়ে শিশু দু’একটা শব্দ বলতে শিখে। যদি শিশুর মধ্যে কথা বলতে শেখার প্রবণতা আরও তাড়াতাড়ি আসে, তাহলে বুঝতে হবে সন্তান বুদ্ধিমান।
একগুঁয়ে হওয়া: খুব একগুঁয়ে হওয়া যেমন সমস্যার, তেমন শিশুর একটু-আধটু জেদ থাকাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, কোনও বিষয়ে একেবারেই একগুঁয়ে না হলে শিশুর নিজস্ব বিচার ক্ষমতা ও দৃঢ়তা তৈরি হয় না। বুদ্ধি তৈরিতে এই দুই-ই প্রয়োজন।
মনঃসংযোগ: সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুর একটানা মনঃসংযোগ থাকার সময়সীমা ১৫ মিনিট। কিন্তু সন্তান যদি কোনও একটি খেলনা অথবা আঁকার বই নিয়ে একমনে মশগুল থাকতে পারে ১৫ মিনিটেরও বেশি সময়, তাহলে তা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।
কৌতুহলী: শিশুরা সাধারণত কৌতূহলী হয়। নিজেই বুঝতে চেষ্টা করে প্রাপ্ত জিনিসের ভিতরে আরও কী কী আছে। খালি চোখে তা দৃষ্টিকটূ বলে মনে হলেও এটি আদতে শিশুর জানতে চাওয়ার লক্ষণ। এটিও বুদ্ধিমান হওয়ার পরিচয়।
টি/আ