হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে চলেছে বুঝবেন যেভাবে
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
- জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
হরমোন নারীদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার ওপর বেশ বড় প্রভাব রাখে। পিরিয়ডের পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও মাঝে মাঝে দেখা যায় অকারণেই অনেক দিন ধরে রয়ে গেছে এসব উপসর্গ।
বিভিন্ন কারনে নারী শরীরে হরমোনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবশ্য কয়েকটা লক্ষনের দ্বারা ভাল ভাবে বোঝা সম্ভব। কারণ হরমোনের গণ্ডগোলের থেকেই উৎপত্তি হয় বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য এভাবে ব্যহত হবার পেছনে থাকতে পারে গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যা। বিশেষ করে নিচের কয়েকটি লক্ষণ দেখতে পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই ভাল-
অবসাদ: অবসাদের অনেক কারণ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ক্লান্তি মনে করে একে উড়িয়ে দেন অনেকেই। সারা সপ্তাহ কাজ বা পড়াশোনার ধকলের পর ক্লান্ত থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সারাক্ষণই ক্লান্ত থাকা এবং তার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়া, রুচির পরিবর্তন এবং বদহজমের উপসর্গ থাকলে তা হলে পারে আন্ডারঅ্যাকটিভ থাইরয়েডের লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্ত লাগলে ডাক্তারকে জানান।
ত্বকের অবনতি: ত্বকে ব্রণ ওঠার ব্যাপারটাকে অনেকেই হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখের নিচের অংশে ব্রণ ওঠার সাথে শরীরে উঁচুমাত্রার টেস্টোস্টেরনের সংযোগ থাকতে পারে। শরীরের গোপন অঙ্গে হঠাৎ করে পশম জন্মাতে শুরু করতে পারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাবার কারণে। আর টেস্টোস্টেরন এভাবে বেড়ে যেতে পারে যদি শরীরে এক ধরণের টিউমার থেকে থাকে।
অনিয়মিত পিরিয়ড: অবসাদের মতই অনিয়মিত পিরিয়ডের পেছনেও থাকতে পারে অনেক কারণ। যেমন স্ট্রেস, থাইরয়েডের সমস্যা, ইস্ট্রোজেনের অভাব অথবা পি সি ও এস (পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম)। পি সি ও এস এর লক্ষণ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড, অনিয়ন্ত্রিত ওজন বাড়া অথবা শরীরে পশমের আধিক্য।
ঘুমের মাঝে ঘেমে যাওয়া: অনেকেই এমন আছেন, যারা ঘুমের মধ্যেই ঘেমে যান। বেডরুমে ইলেক্ট্রিসিটি থাকা সত্ত্বেও ঘেমে যাওয়া মানে, হতে পারে ইস্ট্রোজেনের অভাব এবং অনিয়মিত ডিম্বপাত। এই জটিলতাকে বলা হয় প্রি মেনোপজ। মেনোপজ হবার মতো বয়স হবার আরও বছর দশেক আগেই দেখা দিতে পারে প্রি মেনোপজ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন সমস্যাটি আরও গুরুতর কি না।
টি/আ