নবজাতকের যত্ন নেবেন যেভাবে!
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
১. নবজাতক কে শুধু মাত্র বুকের দুধ খাওয়ান। তাকে অবশ্যই শাল দুধ খাওয়াতে হবে কোনো ভাবে শাল দুধ ফেলে দেওয়া যাবে না। ছয় মাস পযর্ন্ত শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে, পানি মধু অন্যকিছু এমন কি কৌটার দুধও শিশুকে দেওয়া যাবে না। কারণ, কৌটার দুধ খাওয়ালে শিশুর ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর এজাতীয় রোগ হতে পারে, এমনকি ভবিষ্যতে হৃদ রোগে আক্রান্ত হবে কৌটার দুধ খাওয়ালে।
২. মা যখন শিশুকে দুধ খাওয়াবে অবশ্যই সাবান দিয়ে দুই হাত ধুয়ে নিবে। শিশুর কাপড় চোপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে অবশ্যই রোদে ভাল করে শুকিয়ে নিবেন।
৩. শিশুকে তিন দিনের আগে গোসল করানো যাবে না, নাভিতে কোন তেল বা ক্রীম দেওয়া যাবে না।
৪. শিশুর জন্মের পরপর যদি বুকের দুধ না পায় তাহলে হতাশ হয়ে অন্য কিছু খেতে দিবেন না, শিশু জন্মের পর তিন দিন পর্যন্ত কোন কিছু না খেয়ে বাঁচতে পারে।
৫. শিশু ঘামছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে ঘামলে সাথে সাথে মুচিয়ে দিন কারন ঘাম গায়ে বসলে নিউমোনিয়া হতে পারে।
৬. শিশুকে কোলে নিয়ে মুখে চুমা দিবেন না। এতে সে ডায়রিয়ার মত রোগ বা পেট খারাপ হবে।
৭. প্রস্রাব বা পায়খানা করলে সাথে সাথে পরিস্কার করে ফেলুন।
৮. ওয়েট টিস্যু বা নরম কাপড় দিয়ে মল বা প্রস্রাব পরিস্কার করুন। কাপড় অবশ্যই সাবান দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।
৯. শিশুকে সটিক সময় দুধ খাওয়ান, শিশু দুধ খাওয়ার ইশারা করলে বা কান্না করলে সব কাজ ফেলে তাকে দুধ দিন, দুধ দিতে দেরি করলে তার পেঠে গ্যাস হতে পারে। তাই সঠিক সময়ে দুধ খাওয়ান বার বার।
১০. দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুকে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে ধরে আপনার শরীরের সাথে শিশুর শরীর লাগিয়ে নিন। এতে আপনার শরীরের তাপ পাবে শিশু যাতে জ্বর বা সর্দিকাশি কম হবে।
১১. দুধ খাওয়ানোর সময় যদি আপনার অন্য পাশের স্তন দিয়ে দুধ পরে যায় তখন আপনি শিশু কে সেই দুধ খেতে দিবেন না কারন হালকা পানি জাতীয় দুধ টা পরে যায় যাতে পুষ্টি গুন কম থাকে।
১২. সর্বোপরি শিশু যদি অসুস্থ হয় মা, বেশি বেশি বুকের দুধ দিবে এবং নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।