
প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোম
- ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
- মার্চ ৯, ২০১৯
মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া মহিলাদের সাধারণত এ সিনড্রোম দেখা যায়। এ সিনড্রোমের কিন্তু আরো একটি নাম আছে। তা হচ্ছে প্যাটারসন-ব্রাউন-কেলি সিনড্রোম। আসলে প্লামার এবং ভিনসন দুজন পৃথক বিজ্ঞানী। তাঁরা এ অসুখ অবিষ্কার করেছেন বলে একে প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোম বলা হয়। প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোমে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়ঃ
১। খাবার গিলতে কষ্ট।
২। দূর্বলতা।
৩। জিহবার প্রদাহ।
৪। রক্তাল্পতা।
৫। খাবার গিলতে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি।
কেন যে প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোম হয় তা আজো অজানা। জীনগত সম্পর্কের কথা অনেকে বলেন। বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতির জন্যও এমনটি হয় বলে কেউ কেউ মনে করেন। মাসিক বন্ধ হয়ে যাবার পর এ সমস্যা হয়। যাদের প্লামার ভিনসন্ সিনড্রোম আছে তাদের আবার ইসোফেগাস বা অন্ননালীতে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বেশী থাকে। প্লামার ভিনসন খুব পরিচিত সমস্যা নয়। আর বিরল অসুখ ডায়াগনসিস একটু কঠিন। তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইতিহাস নিয়ে, রক্ত পরীক্ষা এবং এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে রোগটি ডায়াগনসিস করে থাকেন।
রক্ত পরীক্ষা করলে আয়রন স্বল্পতা জনিত অবস্থা বোঝা যায়। বায়োপসি করে মাইক্রোসকোপিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে রোগটি ডায়াগনসিস করা যায়। চিকিৎসা করলে প্লামার ভিনসন সিনড্রোমের রোগীরা ভাল বোধ করেন। আয়রন ট্যাবলেট দিলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। নিয়মিত আয়রন খেলে এবং পুষ্টিকর খাবার এ সিনড্রোম প্রতিরোধ করতে পারে।