ধূমপানের ভয়াবহ পরিণাম এবং ত্যাগ করার উপায়

  • সাজু 
  • এপ্রিল ১, ২০১৯

ধূমপান পৃথিবীতে প্রচলিত সর্বাধিক মারাত্মক একটি নেশার নাম।এটি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা কমবেশি সবারই জানা।সবাই জানে ধূমপান করা আর নিজেকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়া একই কথা।তারপরেও কোটি কোটি লোক ধূমপান করছে।

ধূমপানের পরিণামঃ ধূমপানের জন্য প্রয়োজন হয় তামাক পাতা।এ পাতার মধ্যে রয়েছে নিকোটিন নামক বিষাক্ত পদার্থ যা খুবই ক্ষতিকর।নিয়মিত ধূমপানকারীদের দাঁতের মাড়িতে,ঠোঁটে,জিহবার ডগায়,আঙুলের ফাঁকে যে কালচে দাগ দেখা যায় তা এই বিষাক্ত নিকোটিনের প্রভাব।ধূমপানের ফলে ধোঁয়ার সাথে নিকোটিন শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে তা রক্তের সাথে মিশে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে নিকোটিন ফুসফুসে ধীরে ধীরে জমতে থাকে এবং একটা সময় পুরো ফুসফুস নষ্ট করে দেয়।ক্যন্সার, যক্ষা, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, আলসার,গ্যাস্ট্রিক, হৃদরোগ সহ ২৫ টি মারাত্নক রোগের প্রধান কারণ ধূমপান।এটি ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি  সামাজিক ও রাষ্ট্রজীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।একজন ধূমপায়ীকে অন্য ধূমপায়ী ছাড়া আর কেউ সুনজরে দেখেনা।যেখানে সেখানে সিগারেটের প্যাকেট ও দিয়াশলাই এর কাঠি ফেললে পরিবেশ নোংরা হয়।জ্বলন্ত সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ থেকে ঘটতে পারে মারাত্নক অগ্নিকান্ড।বায়ুদূষণের ক্ষেত্রেও ধূমপান অনেকটাই দায়ী।

যেভাবে ধূমপান ত্যাগ করবেনঃ "একটানে দুইটানে কিছু হয় না" এরকম একটা মনোভাব নিয়ে শুরু হওয়া বদ অভ্যাসের নাম ধূমপান যা শুরু করা যতটা সহজ শেষ করাটা ঠিক ততটাই কঠিন।তবে মানুষ তার ইচ্ছাশক্তি আর মনের জোর থাকলে সবই করতে পারে।সেজন্য আগেই মনে মনে সংকল্পবদ্ধ হয়ে নিন কবে আর কখন থেকে অভ্যাসটা ত্যাগ করবেন।দিনের যে সময়টাতে বেশি ধূমপান করতেন সে সময়ে নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন এবং মুখে চুইংগাম রাখুন।যারা নিয়মিত অনেকগুলো করে সিগারেট খেতেন তাদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ করে অভ্যাসটি ত্যাগ করা ঠিক নয়।কারণ তা মস্তিষ্কের উপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ধীরে ধীরে অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। ধূমপান করা ছেড়ে দিবেন বলে প্রিয়জনের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে পারেন,সোস্যাল সাইটে স্ট্যাটাস দিতে পারেন।যাতে পরবর্তীতে ইচ্ছা করলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।ধূমপায়ী বন্ধুদের সাথে মেলামেশা, যেসব দোকান থেকে সিগারেট কিনতেন সেসব দোকানে যাওয়া বন্ধ করে দিন। সময় নিয়ে সরকারি মেডিকেলগুলোতে ঘুরে আসুন।একটু ভাবুন,সেখানে মানুষ বাঁচার জন্য কত চেষ্টা করছে আর আপনি ধূমপান করে নিজেকে শেষ করছেন!

Leave a Comment