শিশুর চোখ উঠলে বুঝবেন যেভাবে
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
- এপ্রিল ২, ২০১৯
চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ। ছোট-বড় সবারই চোখ উঠতে পারে। পঞ্চইদ্রীয়ের মধ্যে দেখার মাধ্যমে চোখ খুব সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। তাই চোখের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি। চোখ ওঠা কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগ নয়।চোখ উঠা তিন দিনে এমনিতে ভালো হয়ে যায়। এটা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগটি মূলত বাতাসের মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনের হয়ে থাকে। দেখা যায় পরিবারের একজনের চোখ উঠলে আস্তে আস্তে পরিবারের অন্য সদস্যরাও একের পর এক আক্রান্ত হতে থাকেন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে মা-বাবাকে একটু সচেতন থাকতে হবে। কারণ শিশুরা সব কথা বুঝিয়ে বলতে পারে না। অনেক সময় শিশুরা কান্নাকাটি করে থাকে, চোখ চুলকাতে থাকে।
চোখ ওঠার লক্ষণ:
১. হঠাৎ করে শিশুর চোখ লাল হয়ে যায়। অনেক সময় চোখের উপরিভাগে পাতলা ঝিল্লির নিচে রক্তক্ষরণও হতে পারে।
২. চোখের পাতা ফুলে যায়।
৩. ছোটদের ব্যথা হলে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না। তাই অনেক ক্ষেত্রে কান্নাকাটি করে।
৪. সকালবেলা চোখে পিঁচুটি জমে চোখ আটকে যায়।
৫. সারাদিন ময়লা জমবে চোখে এবং সঙ্গে পানি পড়বে।
৬. অনেক সময় চোখে আলোর সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। এসব সমস্যাই সাধারণত চোখ ওঠার লক্ষণ।
মা-বাবার করণীয়:
১. শিশুর চোখ নিয়মিত পরিষ্কর রাখুন।
২. চোখ ওঠার ফলে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হতে পারে। আর সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
৩. যেসব শিশু স্কুলে যায় তাদের ক্ষেত্রে কয়েকদিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো।
৪. স্কুলে গেলে অন্য বাচ্চাটিও এ রোগে সংক্রমিত হতে পারে।
৫. বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ সময় কালো চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে রোগীকে।
৭. তুলা ভিজিয়ে শিশুর চোখ পরিষ্কার করুন।
চোখ ওঠলে যেসব ভুলেও করবেন না:
১. ঘন ঘন চোখে পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই।
২. একটি রুমাল ব্যবহার করার পর বারবার সেটা ব্যবহার করা যাবে না।
৩. টিসু পেপার ব্যবহার করার পর সেটি হাতে রেখে দেয়া চলবে না। একবার ব্যবহার করার পর ফেলে দিতে হবে।
৪. একজনের চোখের ড্রপ অন্যজনের ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে করে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
৫. চোখ চুলকালে শিশুর চোখে ময়লা হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে সংক্রমণসহ চোখের বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
৬. শক্ত কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যাবে না।
৭. শিশুর চোখে কাজল দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
চোখ উঠলে শিশুকে সব ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। আর শিশুর চোখ ভালো রাখতে চাইলে পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন ছোটবেলা থেকেই। কারণ অন্ধত্বের প্রধান কারণ হল ভিটামিন এ এর অভাব। তাই শিশুর মধ্যে ডিম, দুধ, মাছ, গাজর, পেঁপে, কলিজা ও সব ধরনের সবুজ শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
টি/আ