দীর্ঘদিন ডায়েটিংয়ে লেগে থাকার উপায়

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • এপ্রিল ৪, ২০১৯

ডায়েটিংয়ে লেগে থেকে শেষ করা কঠিন কাজ। প্রবল উৎসাহে শুরু হলেও, মধ্য পথেই ডায়েটিং ছেড়ে দেন। যদিও এক–দুইদিন এমন হলে বিরাট ক্ষতি নেই। কারণ ডায়েটিংয়ের নিয়মই হলো, সপ্তাহে এক–দুই দিন নিয়ম না মানলে বাকি দিনগুলোতে ডায়েটিংয়ে লেগে থাকা সহজ হয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় মন। বিরিয়ানি বা আইসক্রিম হাতে এলেই লোভ সামলানো যায় না। আর টানা কিছু দিন অনিয়ম করলে নতুন করে শুরু করতে হয় সব। কিন্তু একটু প্রস্তুতি নিয়ে ডায়েটিংয়ে নামলে লেগে থাকা যায় সহজেই।

ডায়েটিংয়ের প্রস্তুতি: কী কী খাবার দেখলে নিজেকে সামলাতে পারেন না তা নোট করুন। তার মধ্যে যেগুলো হাই ক্যালোরি তাদের চিহ্নিত করে নিন। কখন কোন খাবার খাওয়ার ইচ্ছে বেশি হয় এবং তার বদলে কিছুটা কম ক্যালোরির কোন উপকারি খাবার খাওয়া যেতে পারে, তার পরিকল্পনা করে নিন। দুপুরে বা রাতে মিষ্টির বদলে খান কম ক্যালোরির পুষ্টিকর টাটকা বা শুকনো ফল। বিকেলে খান ভাজার বদলে রোস্টেড, গ্রিলড বা বেকড খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কের বদলে ফলের রস, ডাবের পানি। পুরো সপ্তাহ নিয়ম মেনে কাটানোর পর সপ্তাহে একদিন পছন্দের খাবার মন ভরে খান।

একঘেয়ে খাবার না খেয়ে পুষ্টি ও ক্যালোরির সঙ্গে স্বাদের কথাও মাথায় রাখুন। কম তেল–মসলায় কীভাবে সুস্বাদু খাবার বানানো যায় তা দেখুন। ডায়েটিং একা একা না করে কয়েকজন মিলে করলে উৎসাহ বাড়বে। এদের সঙ্গে বাইরে খেতে গেলে ভুল খাওয়া কম হবে। কম ঘুমালে শরীরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যারা খিদে বাড়ায়। তাছাড়া কম ঘুমের ক্লান্তি দূর করতে আসক্তি বাড়ে মিষ্টি খাবারের প্রতি। মোটিভেশন কমে যাচ্ছে বলে মনে হলে ডায়েটিংয়ের সুফল নিয়ে ভাবুন।

মেনে চলার কৌশল: অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার ইচ্ছা হলে ভাবুন, একটু আনন্দের জন্য এত ব্যায়াম, এত কষ্ট, সব বিফলে চলে যাবে। অসময়ে কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হলে এক গ্লাস পানি বা ফ্রেশ লাইম ওয়াটার খান খুব ধীরে ধীরে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর ভাল ফল পাওয়া যায়। চোখের খিদে পেলে একটু হেঁটে নিন। কারো সঙ্গে গল্প করতে পারেন। বাড়িতে রাখুন কেবল স্বাস্থ্যকর খাবার। আর ডায়েটিং করেন না এমন কারো সঙ্গে খেতে যাবেন না। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ডায়েটিং ও ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন কমবে আর তখন দেখবেন মোটিভেশনও বাড়বে।

টি/আ

Leave a Comment