
সারাদিন খেতে চাওয়া অসুখের লক্ষণ?
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
- এপ্রিল ১০, ২০১৯
সকাল, দুপুর, রাত সব সময়েই শুধু তেলে ভাঁজা খাবার, ফ্রিজে রাখা চকলেট, মজার সব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করে? অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টাই আপনার মুখে কোনো না কোনো খাবার থাকছে। তারপরও খেয়ে পরিতৃপ্ত হতে পারছেন না। কেউ বলেন চোখের খিদে, কেউ বলেন বিগ অ্যাপেটাইট। আসল কারণটা কিন্তু এসব কিছুই নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৪ ঘণ্টা যাদের খাবার খেতে ইচ্ছা করে তাদের রিওয়ার্ড ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম বা আরডিএস আছে।
আরডিএস কি? আমরা যখনই কোনো ভাল খাবার খাই, আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামে এক ধরনের সুখী হরমোন ক্ষরিত হয়। শুধু খাওয়া নয়, যে কোনো কাজ যা মনকে পরিতৃপ্তি দেয়, তা এই হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। মনোবিদরা বলছেন, যখন মানুষ পুষ্টির প্রয়োজন বা যা খিদে তার থেকে বেশি খাচ্ছেন মানে তিনি পরিতৃপ্তি অর্জনের চেষ্টা করছেন।
আরডিএস কেন হয়? সাইকোলজি টুডে নামক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যন জার্নালে বলা হয় এই অসুখে আক্রান্তদের মস্তিষ্কে আরডিএস গ্রন্থির পরিমান কম। অর্থাৎ বেশ কিছু আবেগ উচ্ছ্বাস তাকে সেই পরিতৃপ্তি দিতে পারে না এবং হরমোন ক্ষরণ কম হয়। কিন্তু তিনি তা খাবার থেকে পান। আবার বিভিন্ন মুহূর্তে ডোপামিন স্বাভাবিক পরিমান ক্ষরিত না হলে মনও ভাল থাকে না। এই জন্যই তারা বাধ্য হয়ে বারবার খান।
কমাবেন যেভাবে: আরডিএস কমাতে কাজ করতে হবে নিজেকেই। নিজের রাগ, দুঃখ, অভিমান সব আবেগকেই কাজ করতে দিতে হবে। মনোবিদের মতে, নিজের ভুলটিকে চিহ্নিত করতে পারা মাত্রই সচেতন হতে শুরু করুন। নিজেকে নিয়মিত অন্য নানা পুরষ্কার দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে ফোনে কথা, কাছে কোথাও ঘুরে আসা যা আপনার সচেতন মনকে পরিতৃপ্ত করতে পারে এবং ডোপামিন বা সুখী হরমোন ক্ষরণ বাড়াতে পারে।
টি/আ