ব্লাস্টোমাইকোসিস 

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • এপ্রিল ১২, ২০১৯

এক ধরনের ফাংগাস দিয়ে রোগটি হয়। ফাংগাসের নাম ব্লাস্টোমাইসেস ডার্মাটিডিস। ফাংগাসটি আর্দ্র মাটিতে প্রচুর পারিমানে পাওয়া যায়। শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে এটি ফুসফুসে প্রবেশ করে। তবে ফুসফুসে প্রবেশ করলেই সবার রোগ হয়না। সাধারণত সর্দি জ্বরে যেমন উপসর্গ থাকে ব্লাস্টোমাইকোসিসেও একই রকম উপসর্গ থাকে। চিকিৎসা না করলে অনেক সময় সংক্রমন জটিল আকার ধারণ করে। 

ব্লাস্টোমাইকোসিস হলেই সবার উপসর্গ থাকে না। প্রতি দুইজনে একজনের উপসর্গ দেখা যায়। ফাংগাস শরীরে ঢোকার ৩ থেকে ১৫ সপ্তাহ পরে উপসর্গ শুরু হয়। সাধারণত সর্দি-জ্বরের মত উপসর্গই থাকে। জ্বর, ঠান্ডার অনুভূতি, কাশি, মাংসপেশীতে ব্যথা, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ও বুকে ব্যথা থাকে। অনেক সময় ফাংগাস সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত চামড়া ও অস্থিতে ছাড়ায়। 

বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ব্লাস্টোমাইকোসিস ডায়াগনসিস করা যায়। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল পরীক্ষা হচ্ছে ফাংগাস কালচার করা। এছাড়া আক্রান্ত টিস্যুর মধ্যে ফাংগাস আছে কিনা তা মাইকোস্কোপে দেখে এবং এন্টিবডি দেখেও ব্লাস্টোমাইকোসিস ডায়াগনসিস করা যায়। এন্টিফাংগাসল ঔষধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। সাধারণ থেকে মৃদু উপসর্গের জন্য ইট্রাকোনাজল ব্যবহার করা হয়। তীব্র রোগে এম্ফোটেরিসিন বি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ভরিকনাজোল এবং পোসাকোনাজল ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্লাস্টোমাইকোসিস হলেই যে চিকিৎসা নিতে হবে তা নয়। একজন যোগ্য চিকিৎসকই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। 
 

Leave a Comment