সারভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস 

  • ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
  • এপ্রিল ১২, ২০১৯

এই অসুখের আরো কিছু নাম আছে। একে সারভাইকাল অস্টিও আর্থ্রাইটিস এবং নেক আর্থ্রাইটিসও বলে। সারভাইকাল স্পন্ডাইলোসিসে ঘাড়ে যে কশরেুকাগুলো থাকে সেখানে ব্যথা হয়। অসুখটি খুবই পরিচিত। বয়সের সাথে রোগটির সম্পর্ক আছ। বয়স যত বাড়ে এটি তত বাড়তে থাকে। তবে বয়স ছাড়া অন্যান্য কারণেও এমনটি হয়। 

৬০ বছরের পরে প্রায় ৮৫ জনের মধ্যে সারভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস দেখা যায়। তবে সবার ক্ষেত্রে উপসর্গ প্রকট থাকেনা। কারো কারো ক্ষেত্রে প্রকট থাকে। কারো ক্ষেত্রে রোগটি বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়। তখন ব্যথা বেশী হয় এবং ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। 

সারভাইকল স্পন্ডাইলোসিসে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। আগেই বলা হয়েছে সবার ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক হয়না। উপসর্গ হঠাৎ শুরু হতে পারে আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। ঘাড়ে ব্যথা হয়। ব্যথা বাহু বা আঙ্গুলের দিকেও আসতে থাকে। হাঁচি, কাশি, ঘাড় নাড়ালে ব্যথা বেশী হয়। কিছু ক্ষেত্রে ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। মাথাব্যথা হতে পারে। ভারসাম্যের সমস্যা হয়। অনেক সময় প্রস্রাব পায়খানাতেও সমস্যা হয়। তখন দ্রুত চিকিৎসাকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। 

ভালভাবে ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসক রোগটি  বুঝতে পারেন। নিশ্চিত হবার জন্য এক্সরে, সিটিস্ক্যান এবং এমআর আই করা হয়। ইএমজি, নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি করা হয় কোন কোন ক্ষেত্রে। 

এই রোগের চিকিৎসায় ব্যথা কমানোর ওষুধ দেয়া হয়। কোডন জাতীয় ওষুধ ভাল কাজ করে। গাবাপেন্টিন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কিছু ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। তবে ওষুধ কাজ না হলে সার্জারি করতে হয়। আশার কথা হচ্ছে খুব কম ক্ষেত্রেই সার্জারি লাগে। অসুখটি যেহেতু খুবই পরিচিত তাই সবার এ বিষয়ে জানা উচিত। 
 

Leave a Comment