গ্লসাইটিস
- ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
- এপ্রিল ১২, ২০১৯
গ্লসাইটিস খুব পরিচিত সমস্যা। অনেক দেখতে পাওয়া যায়। গ্লসাইটিস মানে জিহ্বার প্রদাহ। গ্লসাইটিসে জিহ্বা লাল হয়ে যায়। ফুলে উঠে। বিভিন্ন কারণে গ্লসাইটিস হতে পারে। যেমন:
১। এলার্জিজনিত কারণে।
২। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক সংক্রমণ।
৩। কোন ইনজুরি বা আঘাত
৪। এলকোহল গ্রহণ
৫। তামাকজাতীয় দ্রব্য
৬। কিছু ভিটামিনের অভাবে। এর মধ্যে আছে ভিটামিন বি১২ এবং ফলিক এসিড।
৭। আয়রনের অভাবে
৮। হরমোনজনিত
৯। দেহের বিভিন্ন অসুখে
পরিবারে কারো থাকলে অন্য সদস্যদেরও হতে পারে। গ্লসাইটিসে যেসব উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় তার মধ্যে আছে-
১। খাবার চিবাতে বা গিলতে কষ্ট হওয়া।
২। কথা বলতে সমস্যা হওয়া ।
৩। জিহ্বা ফুলে লাল হয়ে যায়।
৪। মুখে দুর্গন্ধ
৫। অস্বস্তি
৫। মুখের ভেতরে জ্বালা যন্ত্রনা।
চিকিৎসক দেখেই গ্লসাইটিস ডায়াগনসিস করতে পারেন। তেমন ল্যাবটেস্টের প্রয়োজন হয়না। তবে কারণ বের করার জন্য অনেক সময় ল্যাবটেষ্টের প্রয়োজন হয়। শরীরের অন্য কোথাও অসুখের কারণে গ্লসাইটিস হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য কিছু পরীক্ষা লাগে। গ্লসাইটিসের চিকিৎসার মূল হচ্ছে যে কারণে এমন হচ্ছে যে কারণ দুর করা। যদি ভিটামিন বা আয়রনের কারনে গ্লসাইটিস হয় তবে ভিটামিন এবং আয়রন দিতে হবে। সংক্রমণের কারণে হলে ওষুধ দিতে হবে।
এলকোহল, ধূমপান বর্জন করতে হবে। তামাকজাতীয় কোন কিছুই গ্রহণ করা যাবেন না। অন্য কোন অসুখের কারণে গ্লসাইটিস হলে সেই কারণ দূর করতে হবে। গ্লসাইটিস দূর করার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে সচেতন হতে হবে। মুখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। দাঁতের যতœ নিতে হবে। নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। একটু সচেতন হলেই গ্লসাইটিস প্রতিরোধ করা যায়।