গর্ভাবস্থায় ওজন অনেক বেশী ?

  • রেজবুল ইসলাম
  • ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭

প্রশ্ন : আমি ৪ মাসের গর্ভবতী কিন্তু আমার ওজন অনেক বেশী। এখন কি করা উচিত?


উত্তর: গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি  কেমন হবে সেটা ব্যাক্তি ভেদে কম বেশি হয়। গর্ভাবস্থায় যে ওজনটুকু বাড়ে তার কিছু অংশ হলো চর্বি, যা গর্ভকালীন সময়ে মেয়েদের শরীরে জমা হয়। বাকী টুকু হলো গর্ভস্থ শিশু, গর্ভফুল, বিশেষ তরল যার মধ্যে শিশু ভেসে থাকে এবং মায়ের শরীরে যে পরিমান রক্ত ও অন্যান্য তরল বেড়ে থাকে- তাদের ওজন।

গর্ভাবস্থায় কম খেয়ে ওজন কমানো উচিত না, এতে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। আবার দুইজনের খাবারও খাওয়া উচিত না, পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুধও খাওয়া উচিত না। বাস্তবতা হলো প্রথম ৬ মাস অতিরিক্ত ক্যালোরির প্রয়োজন হয় না, এসময় অন্য সব মেয়েদের মতোই দৈনিক ২০০০ ক্যালোরি গ্রহন করতে হবে। শুধু শেষ ৩ মাস দৈনিক ২০০ ক্যালোরি অতিরিক্ত প্রয়োজন হয়।

বিভিন্ন রকম খাবার থেকে আমরা খাবারের উপাদানগুলো পেয়ে থাকি। খাবার নির্বাচনের সময় তাই সতর্ক থাকতে হবে যাতে সব রকম উপাদানই প্রয়োজনীয় মাত্রায় থাকে। দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি এবং আঁশ জাতীয় খাবার যেমন- লাল আটার রুটি, শাকসবজি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সাহায্য করে। শক্তি প্রদানকারী খাবারগুলোর মধ্যে আছে আটা, গম, পাস্তা, নুডুলস, ওটস, আলু ইত্যাদি। ফলমূল ও শাকসবজি থেকে আমরা পাই বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও এন্টি অক্সিডেন্ট। প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উপাদানগুলো হলো- মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, শিম, সয়া প্রডাক্ট। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ আমাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের অন্য সোর্সগুলো হচ্ছে চিজ, দই, ব্রকলি, এলমন্ড, আইসক্রিম ইত্যাদি। আয়রন জাতীয় খাবারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সবুজ শাক, লাল মাংস, বাদাম, কচু জাতীয় সবজি। প্রতিদিনের খাবারের অর্ধেকটা জুড়ে থাকা উচিত ফলমূল ও শাকসবজি এবং ফ্যাটের পরিমাণ সব খাদ্যের ৩০ ভাগ বা এর কম হতে হবে।

এ সময় আনপাস্তুরাইজ দুধ, আধা সিদ্ধ মাংস, অপরিষ্কার শাক-সবজি থেকে কিছু ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে, যা গর্ভপাতের জন্য দায়ী। এ ছাড়া এলকোহল, অতিরিক্ত চা-কফি, কোল্ড ড্রিংক পরিহার করা উচিত।

Leave a Comment