গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি
- কবিতা আক্তার
- আগস্ট ১৫, ২০১৯
স্বাভাবিক অবস্থায় একটি শিশুর মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠার পরই পৃথিবীর আলো দেখে। মায়ের কাছ থেকে পাওয়া পুষ্টির ওপর নির্ভর করে শিশুর বেড়ে ওঠা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ। গর্ভাবস্থায় অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ এবং অপুষ্টির কারণে একদিকে যেমন কম ওজনের ও অপুষ্ট শিশু জন্মগ্রহণ করে তেমনি মায়েরও রক্তশূন্যতা, আমিষের অভাব এবং দূর্বলতা দেখা যায়। এজন্য গর্ভবতী মায়ের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
আমিষ
আমিষ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় গর্ভাবস্থায়। ভ্রুণের সঠিক বৃদ্ধি, স্তনগ্রন্থীর বৃদ্ধি ইত্যাদির জন্য আমিষ প্রয়োজন। প্রতিদিন প্রায় ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম আমিষ প্রয়োজন। মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, দুধ, সিমের বিচি, ডাল ইত্যাদি আমিষের উৎস।
লৌহ
স্বাভাবিক অবস্থায় একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর ৩০গ্রাম লৌহ বা আয়রন দরকার হয়। কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে দরকার হয় ৩৮গ্রাম। কলিজা, শুকনো ফল, সবুজ সবজি, কালো কচুশাক, লাল শাক, টেংরা মাছ, বিট, গুড়, খেজুর, সফেদা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে লৌহ থাকে।
ফলিক এসিড
ফলিক এসিডের অভাবে মায়েদের রক্তসল্পতা হতে পারে। এছাড়া সন্তানের বিকলাঙ্গতা প্রতিরোধে ফলিক এসিড খুব কার্যকরী। পালংশাক, লেটুস, ডিম, কলিজা, শুকনো সিমের বিচি, ডাল, দুধ ইত্যাদি থেকে প্রচুর ফলিক এসিড পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম
নবজাতকের হাঁড় ও দাঁত গঠনের জন্য শেষ তিন মাসে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম দরকার হয়। একজন গর্ভবতী নারীর দৈনিক কমপক্ষে এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। দুধ, দই ক্যালসিয়ামের উৎস। এছাড়া ডাল, বাঁধাকপি, শালগম, বিট, বাদাম, মাছ এবং ফলের মধ্যে কমলা ও আঙ্গুরে ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে।
কেএস/