গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা কেন হয় ?
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- এপ্রিল ১৫, ২০২০
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যদি ১১ দশমিক ০ গ্রাম/ডেসি লিটারের কম থাকে, তাহলে তাকে গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতা বলে।
রক্তে স্বাভাবিকের তুলনায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে তাকে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা বলে। রক্তস্বল্পতা বিশ্বব্যাপী খুব সাধারণ একটি সমস্যা। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে নানাবিধ কারণে রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়ায় ভুগে থাকে।
বিভিন্ন কারণে রক্তস্বল্পতা হয়। গর্ভাবস্থায়ও রক্তস্বল্পতা হতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারীদের গর্ভাবস্থা জনিত রক্তস্বল্পতার হার ৪০ থেকে ৮০ ভাগ। গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণটি মূলত শরীরবৃত্তীয়।
আরো পড়ুন : প্রতিদিন একটি ডিম শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন কারণে রক্তস্বল্পতা হয়। যেমন - আয়রনসমৃদ্ধ খাবার, আমিষ জাতীয় খাবার অথবা ভিটামিনের (ভিটামিন বি১২/ ফলিক অ্যাসিড) অভাব হলে। গর্ভকালীন সময়ে রক্তক্ষরণ হলে। গর্ভাবস্থায় যেসব কারণে রক্তক্ষরণ হয় সেগুলো হলো - গর্ভপাত, গর্ভফুল ছিঁড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিক স্থানে থাকা। তৃতীয় বিশ্বে গুঁড়ো কৃমি আরেকটি অন্যতম কারণ। প্রতিটি কৃমি প্রতিদিন শূন্য দশমিক ২৫ মিলি লিটার পর্যন্ত রক্ত শোষণ করতে পারে। এছাড়া রক্ত আমাশয়, এনাল পাইলস থেকেও রক্তক্ষরণ হয়। গর্ভাবস্থায় এনাল পাইলস আরো তীব্র হতে পারে।
আরো পড়ুন : জন্মগত ত্রুটি থাইরোগ্লোসাল সিস্ট
গর্ভ ধারনের পর নারীর শরীরজুড়ে চলতে থাকে নানা রকম হরমোন ও হরমোন জাতীয় উপাদানের উত্থান-পতন। সঙ্গে রয়েছে গর্ভস্থ শিশুর বাড়তি চাহিদা। এতে শরীরের লোহিত কণিকা উৎপাদনের হার বেড়ে যায় শতকরা ২৫ ভাগ। আর লোহিত কণিকা তৈরির কাঁচামাল হলো আয়রন। এতে তখন কাঁচামালে টান পড়ে এবং বাড়তি আয়রনের জোগান দিতে না পারলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। অপরদিকে রক্ত রসের পরিমাণ বাড়ে প্রায় ৪৫ ভাগ। এটাও সমস্যা। লোহিত রক্ত কণিকার তুলনায় রক্ত রসের উৎপাদন বেড়ে গেলে রক্তে এক ধরনের তরলায়ন হয়। এতে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা হয়।
সূত্র : গুগল