কাঁচা হলুদের অসাধারণ সব উপকারিতা
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- জানুয়ারি ৮, ২০১৮
হলুদ একটি মসলা জাতীয় দ্রব্য। হলুদ শত শত বছর আগে থেকে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন মানুষ বাটা হলুদের পরিবর্তে বাজারে পাওয়া যায় এমন প্যাকেট জাত গুঁড়া হলুদ রান্নার কাজে ব্যবহার করছে। এই মশলার উপকরণটি আমাদের দক্ষিন এশিয়ার সংস্কৃতি, ধারা, অনুষ্ঠান-পর্বের সাথে আত্মিক ভাবে জড়িত। আমাদের বিবাহিক অনুষ্ঠান “গায়ে হলুদ “ শুরু হয় বর-কনের গায়ে হলুদ ছোঁয়ানোর মধ্য দিয়ে। হলুদ বলতে গেলে একটি ন্যাচারাল কসমেটিকস। এটি গায়ের রঙ যেমন উজ্জ্বল করে, তার সাথে বিভিন্ন চর্ম রোগের সমস্যা যেমন অ্যালার্জি, ব্রণ, র্যাশ দূর করে। তাছাড়া বয়সগত রোগ আলজেইমার, ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থেকে উপশম পেতে সাহায্য করে। এটি যেহেতু দক্ষিন এশিয়া তে সর্বাধিক পাওয়া যায় তাই একে “ইন্ডিয়ান জাফরান” বলা হয়। আজ তাহলে চলুন হলুদের গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে হলুদ : প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে, ধীরে ধীরে ত্বকের রঙ ফর্সা হয়। তাছাড়া রক্ত পরিষ্কার করে, ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা হলুদের রস খেলেও সমান উপকারিতা পাওয়া যায়। যারা কাঁচা হলুদ শুধু খেতে পারবেন না, তারা চিনি অথবা গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেস প্যাক : হলুদ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক ভালো। আগেই বলেছি লোমকূপের তেল কমাতে হলুদ অনেক ভালো কাজ করে। তাছাড়া চন্দন গুঁড়া এস্ট্রিঞ্জেন্ট এর কাজ করে এবং কমলার রস ত্বকের দাগ দূর করে, ত্বক কে পরিষ্কার রাখে। ৩/৪ চিমটি হলুদের গুঁড়া, ১ চামচ চন্দন গুঁড়া এবং ৪/৫ চামচ কমলার রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান। তৈলাক্ত ত্বকের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য : যদি আপনার ত্বক শুষ্ক থাকে, ত্বক কে উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়ী করতে চান, তাহলে কাঁচা হলুদ বাটা সামান্য, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস, একটা ডিমের সাদা অংশ, গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। নিজেই লক্ষ্য করবেন ত্বকের পজিটিভ পরিবর্তন। তাছাড়া শরীরে যেসব জায়গা শুষ্ক সেসব জায়গায়ও লাগাতে পারেন।
বলিরেখা দূর করতে : হলুদ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ২/৩ চিমটি হলুদ গুঁড়া, চালের গুঁড়া, টমেটো রস, কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ফাইন লাইন্স এবং ঝুলে পড়া ত্বক কে স্বাভাবিক করতে, ত্বক কে ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
চোখের নীচে কালো দাগ দূর করতে : ২/৩ চিমটি হলুদ গুঁড়ার সাথে মাখন মিশিয়ে চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের নীচে বলিরেখা সহ কালো দাগও দূর করবে।
ব্রণ দূর করতে : হলুদের মধ্যে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে যেটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি শুধু ব্রণই দূর করে না, তার সাথে ব্রণের দাগ এবং লোমকূপ থেকে তেল বের হওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেয়। কাঁচা হলুদ বাটা, চন্দন গুঁড়া, লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া ব্রণের উপর কাঁচা হলুদ বাটা এবং পানি মিশিয়ে দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। ব্রণ তাড়াতাড়ি চলে যাবে।
স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে : ত্বকের মোটা হয়ে যাওয়ার ফাটা দাগ, প্রেগ্নেন্সির স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে বেসন, কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ঐ নিদিষ্টও জায়গায় লাগালে ধীরে ধীরে দাগ কমতে শুরু করে।
পোড়া ও কাঁটা জায়গায় হলুদের ব্যবহার : কাঁচা হলুদ একটি এন্টিসেপ্টিক। তাই কাঁটা এবং পোড়া জায়গায় হলুদ বাটার সাথে এলোভেরা মিশিয়ে দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায় । তাড়াতাড়ি ব্যথা এবং দাগের উপশম ঘটে।
ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে : সারাদিন বাইরে থাকে যারা, তাদের ত্বকের পোড়া ভাব এবং পিগ্মেন্টেশন কমাতে হলুদ বাটা, শশার রস, মুলতানি মাটি, লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। ত্বকের পোড়া ভাব কমে যাবে।
ত্বকের মরা কোষ দূর করতে হলুদ : ২/৩ চিমটি হলুদ, চিনি এবং চালের গুঁড়া মিশিয়ে মুখ স্ক্রাব করলে মুখের সব মরা কোষ দূর হবে। তাছাড়া শুষ্ক এবং কালো ঠোঁট এর জন্য হলুদ গুঁড়া এবং কাঁচা দুধ মিশিয়ে স্ক্রাব করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। ঠোঁটের মরা কোষ থাকবে না এবং ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।
পায়ের গোড়ালির ফাটা দাগ দূরনে : গোসলের যাওয়ার আগে কাঁচা হলুদের সাথে, নারিকেল তেল অথবা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে পায়ের ফাটা দাগ কমবে, পায়ের ত্বক সুন্দর এবং নরম থাকবে।
চর্ম রোগ থেকে মুক্তি : যেকোনো চর্ম রোগের জন্য হলুদ অনেক উপকারী। কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে শরীরে মাখলে একজিমা, অ্যালার্জি, র্যাশ, চুলকানি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূরনে : প্রতিদিন ময়দা এবং কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে স্ক্রাব করলে, ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম ধীরে ধীরে কমে আসবে।
বয়স ধরে রাখতে হলুদ : ১ দিন পর পর বেসন, কাঁচা হলুদ বাটা, টক দই মিশিয়ে মুখ সহ সারা শরীরে লাগিয়ে রাখুন শুকানো না পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে ঘড়ির কাটার উলটো দিকে স্ক্রাব করে মাসাজ করুন। এটি ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করার সাথে সাথে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে ।
(বিঃদ্রঃ অবশ্যই মনে রাখতে হবে ত্বকে কখনও সরাসরি হলুদ দেওয়া যাবে না। কিছুর সাথে যেমন চন্দন গুঁড়া, চালের গুঁড়া, বেসন ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। প্রত্যেক মানুষের ত্বক ভিন্ন। তাই আগে মুখে না দিয়ে, হাতে অথবা ঘাড়ে অ্যালার্জি টেস্ট করে নিতে পারেন। এতে বুঝতে পারবেন প্যাকটি আপনাকে সুট করছে কিনা )
জেনে নিই কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে -
এলার্জি : খাদ্য বিশেষে অনেকের দেহ চাকা চাকা হয়ে ফুলে ওঠে, চুলকায়, লাল হয়ে যায় তাকে চট্টগ্রামে পিঁড়ি বাত বলে। এক্ষেত্রে নিমপাতার গুঁড়ো এক ভাগ, কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেটা দুই ভাগ ও শুকনো আমলকীর গুঁড়ো তিনভাগ এক সাথে মিশিয়ে এক গ্রাম হারে সেটা সকালে খালি পেটে বেশ কিছু দিন খেতে হয়।
হামজ্বর : এ জ্বরে কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সাথে করলা পাতার রস ও অল্প মধু মিশিয়ে খাওয়ালে তা সারে। হলুদের শিকড় রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে এক চা চামচ মধু ও করলা পাতার রস মিশিয়ে খেলে হাম সারে।
পেটের পীড়া : পেটের সংক্রমণ দমনে হলুদ খুবই কার্যকর। মাখন বা দুধের সাথে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে।
কৃমি : কাঁচা হলুদের রস ১৫-২০ ফোঁটা (বয়সানুপাতে) সামান্য লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হয়। কৃমি দমনে কার্যকর ওষুধ, তাই একে কৃমিঘ বা কৃমিনাশকারীও বলে।
লিভারের দোষ : পাণ্ডু রোগে (জন্ডিস) গায়ের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে আসছে বুঝতে পারলে হলুদের রস ৫ থেকে ১০ ফোঁটা থেকে শুরু করে বয়সানুপাতে ১ চা চামচ পর্যন্ত একটু চিনি বা মধু মিশিয়ে খাওয়া ব্যবস্থা বহু আগে থেকে চলে আসছে। আবার একটু হলুদ গুঁড়া তার দ্বিগুণ পরিমাণ দইয়ে মিশিয়ে খেলে পিলে ও যকৃতের দোষ এবং জন্ডিস সারে। মধুসহ হলুদ খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
তোতলামি : ছোটবেলায় যাদের কথা আটকে যায় বা স্বাভাবিকভাবে তাড়াতাড়ি কথা বলার অভ্যাস, সে ক্ষেত্রে হলুদকে গুঁড়ো করে (কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করতে হবে) তা দুই-তিন গ্রাম পরিমাণে এক চা চামচ ঘিয়ে একটু ভেজে সেটাকে দুই-তিনবার চেটে চেটে খাওয়াতে হয়। এতে তোতলামি কমে যায়।
শ্লিপদ (ফাইলেরিয়া) : এ অবস্থায় একচা চামচ হলুদের রস অল্প গুড় ও এক চা-চামচ গরুর পেশাব খাওয়াতে বিধান কবিরাজ চক্রপানি দত্তের। এটি আমবাতেও ব্যবহার করা হয়।
পিপাসা বা তৃষ্ণা : পাঁচ-সাত গ্রাম কাঁচা হলুদ থেঁতলে নিয়ে দেড় কাপ আন্দাজ পানিতে ৫-১০ মিনিট সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ওই পানি চিনিসহ অল্প অল্প করে পান করলে শ্লেষ্মাজনিত পিপাসা চলে যায়।
হাঁপানি : হলুদ গুঁড়ো, আখের গুড় ও খাঁটি সরিষার তেল এক সাথে মিশিয়ে চাটলে হাঁপানি একটু উপশম হয়। এ ছাড়া এক চা-চামচ হলুদের গুঁড়ো এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার খেলে ভালো উপকার মেলে। এটি খালি পেটে খাওয়া ভালো।
পেটের বায়ু ও পুরাতন ডায়রিয়া : অন্ত্রের রোগে যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন টাটকা হলুদ বেটে যে রস পাওয়া যাবে তা বা সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে খাবেন। রোগটি এতে সেরে যায় একেবারেই। পেটে বাতাস হলে ও পুরনো ডায়রিয়ায় হলুদের গুঁড়ো বা রস পানিসহ খেলে খুবই উপকার হয়।
কফ, সর্দি ও ঠাণ্ডা লাগা : দুধে হলুদকে সিদ্ধ করে বেটে চিনি মিশিয়ে খেলে সর্দি সারে। পুরনো কফ রোগ, গলা ফোলা ও গলা জ্বালায় আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়ো ৩০ মি.লি. গরম দুধে মিশিয়ে খেলে খুবই উপকার হয়। এতে বড় চামচে দুধ ঢেলে তাতে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে অল্প আঁচে উৎরিয়ে নিতে হয়।
কাশি : খুব বেশি কাশির ঝোঁক হলে এক কাপ ঈষৎ উষ্ণ পানিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করলে কাশির উপশম হয়।
সর্দিজ্বর : গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো ও গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে সর্দিজ্বর কমে। হজমে দুর্বলতা, পুরনো কাশি : হলুদ খেলে হজমে কোন সমস্যা থাকে না। এমনকি পুরানো কাশিও সেরে যায়। সুতরাং কাচা হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।
হলুদ খাওয়ার উপকারিতাগুলো দেখে নিন এক নজর : মধু মিশিয়ে হলুদের গুঁড়ো খেলে এসব রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
(১) গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। গ্যাস-নিরোধক উপাদান থাকায় নিয়মতি কাঁচা হলুদ খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দেবে না।
(২) মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ । নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়া সহ মস্তিষ্কের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।
(৩) এমনকি ক্যানসার নিরোধক হিসেবেও কাজ করে কাঁচা হলুদ। খালি পেটে রোজ সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে ক্যানসার আক্রমনের সম্ভাবনা কমে যায়। আবার হলুদ যখন ফুলকপির সাথে মিলিত হয় তখন এটা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং বিদ্যমান প্রস্টেট ক্যান্সারের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়।
(৪) কাঁচা হলুদ হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে । ফলে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে হার্টের সমস্যা আপনার কাছে ঘেঁসতে পারবে না।
(৫) অনেক গবেষণায় এটা প্রমাণিত নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে আর্থারাইটিসের সমস্যা অনেকাংশেই ভালো হয়ে যায়।
(৬) বয়সজনিত নানা সমস্যাকে দূরে রাখতে সকালবেলা খালি পেটে নিয়মিত এক টুকরো কাঁচা হলুদ খান ।
(৭) চা হলুদ একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক। তাই কাঁটা এবং পোড়া জায়গায় হলুদ বাটা লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায় ও তাড়াতাড়ি ব্যথা এবং দাগের উপশম ঘটে।
(৮) স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধকারী ও অন্ত্রের ক্যান্সার নিরাময়কারী।
(৯) মেলানোমা প্রতিরোধ এবং আত্মহত্যা করতে মেলানোমা কোষ বিদ্যমান হতে পারে।
(১০) শিশুদের লিউকেমিয়া ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
(১১) হলুদের প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য বাত এবং ফোলানো বাত এর জন্য একটি প্রাকৃতিক চিকিত্সা।
(১২) হলুদ কেমো ড্রাগ এর প্রভাব এবং তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে।
(১৩) গবেষণা দেখা গেছে, হলুদ অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার উপশমে চমৎকার কাজ করে থাকে।
(১৪) টিউমার হওয়া বন্ধ ও নতুন রক্ত উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলুদের অনেক গুন।
(১৫) হলুদের গাঠ পিষে, ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে কিছু দিন খেলে (নিয়মিত) ডায়াবেটিস সারে। প্রমেহও সারে।
(১৬) এটি চর্বি বিপাকে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
(১৭) দীর্ঘ বিষণ্নতা জন্য একটি চিকিত্সা হিসাবে চীনা দেশে হলুদেরর ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
(১৮) হলুদের মানসিক অবসাদ রোধ করতে ব্যবহৃত অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্টের কাজও করে । এ ছাড়া, এই উপাদানে রয়েছে অ্যাস্পিরিনের গুণ। এর প্রয়োগে ভ্যাস্কুলার থ্রম্বোসিস আক্রান্ত রোগীর রক্তের ঘনত্বের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
(১৯) হলুদের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা প্রভৃতি নানা পদার্থ রয়েছে। তাই হলুদ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যেমন বাচ্চাদের লিউকমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় নিয়মিত কাঁচা হলুদের রস সেবন। প্রতিদিন দুধ বা পানির সাথে হলুদের গুঁড়ো বা রস মিশিয়ে খাওয়া অভ্যাস করলে অনেকটাই সুস্থ থাকা সম্ভব।
(২০) হলুদের অন্য এক উপাদান ‘পলিফেনল’ চোখের অসুখ ‘ক্রনিক অ্যান্টিরিয়ার ইউভেইটিস’ সারাতে কর্টিকোস্টেরয়ডের কাজ করে। উল্লেখ্য, এই রোগের প্রকোপে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা ও প্রদাহ দেখা যায়।
(২১) মুখে জ্বালা-পোড়া করলে গরম পানির মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে কুলকুচি করুন।
(২২) শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে পানির মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
(২৩) সূর্যের তাপে গা জ্বলে গেলে হলুদের পাউডারের মধ্যে বাদামের চূর্ণ এবং দই মিশিয়ে লাগান।
(২৪) আয়ুর্বেদিক মতে, হলুদ রক্ত শুদ্ধ করে।
(২৫) নাকের ক্ষতঃ নাকের ভেতর ক্ষত হলে হলুদ গুঁড়ো মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।
(২৬) জোঁকে ধরাঃ জোঁকের মুখে হলুদ বাটা বা গুঁড়ো দিলে জোঁকও ছাড়ে, সেই সাথে রক্ত পড়াও বন্ধ হয়। কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে না পারলে তাজা ফলের রস, স্যুপ- এ সবের মধ্যেও এক চামচ কাঁচা হলুদের রশ মিশিয়ে নিতে পারেন আপনি।
তথ্য এবং ছবি : গুগল