মৃত বাচ্চা জন্মানোর ৬টি কারণ
- তাসফিয়া আমিন
- জুন ১৭, ২০২০
মৃত সন্তান প্রসব করা বলতে প্রসবের পূর্বে গর্ভেই ভ্রূণের মৃত্যু হওয়াকে বুঝায়। এতে প্রসব হওয়া সন্তানের মধ্যে প্রাণের কোন চিহ্নই থাকে না। এটি গর্ভপাত এবং জীবিত সন্তান জন্ম দেয়া থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু এর কারণ কি? কেন হচ্ছে এই সমস্যা? প্রায়শই এর কারণ অজ্ঞাত থেকে যায়। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। জেনে নিন মৃত সন্তান প্রসবের ৬টি কারণ।
১. গর্ভবতীর দুর্বল স্বাস্থ্য: মৃত সন্তান জন্ম দেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মায়ের দুর্বল স্বাস্থ্য। একজন মায়ের সুস্বাস্থ্যই একটি সুস্থ্য সন্তান জন্মদানের প্রধান চাবিকাঠি। মায়ের স্বাস্থ্য দুর্বল থাকলে সন্তান সঠিক পুষ্টিগুণ পায় না যার ফলে গর্ভেই মৃত্যুবরণ করে।
২. অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস: মায়ের অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস সন্তান গর্ভে মৃত্যুবরণ করার উল্লেখযোগ্য একটি কারণ। অনেক মা জানেনই না তার ডায়বেটিস আছে। ফলে ডায়বেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকে এবং সন্তান পেটেই মারা যেতে পারে।
আরো পড়ুন : নবজাতকের ক্ষতি হয় যে ৭ কারণে
৩. মায়ের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার: উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার পেটে সন্তান মারা যাওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত প্রেশারের ফলেও অনেক মা পর্যাপ্ত মেডিসিন খাচ্ছেন না। আবার কেউ মেডিসিন খেলেও প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকছে না যার ফলে পেটেই সন্তান মারা যাচ্ছে।
৪. মায়ের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হওয়া: একজন নারীর বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলে তার সন্তান ধারণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কমে যায়। তাই মায়ের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলেও অনেক সময় পেটে সন্তান মরে যেতে পারে।
আরো পড়ুন : বাচ্চার খাবারে মশলার ম্যাজিক
৫. ভ্রূণ বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হলে: ভ্রূণ বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হলে সন্তান পেটেই মারা যায়। দুর্বলতার জন্য এবং সঠিক পুষ্টি না পেলে ভ্রূণ বৃদ্ধি পায় না এবং মারা যায়।
৬. গর্ভাবস্থায় নেশাজাত দ্রব্য গ্রহণ করলে: গর্ভাবস্থায় নেশাজাত দ্রব্য যেমন অ্যালকোহল, নিকোটিন অথবা কোন বিরূপ ঔষধ গ্রহণ করলে সন্তানের উপর প্রভাব পড়বে এমনকি সন্তান গর্ভেই মারা যেতে পারে।