নবজাতকের না ঘুমানোর ৫ কারণ
- তাসফিয়া আমীন
- আগস্ট ১৩, ২০২০
পরিবারে নতুন সদস্যের জন্ম নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটা খুশির ঘটনা। তবে তাকে লালনপালনের ঝামেলাও কিন্তু কম নয়। ছোট্ট সোনামনি না ঘুমালে, কান্না করতে থাকলে তা পুরো পরিবারের ঘুম হারাম করার জন্য যথেষ্ট। আর শিশু কেনো কাঁদছে তা বুঝতে না পারলে সমাধানের উপায় পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। শিশুর রাতে না ঘুমাতে না চাওয়ার কারণটা সহজ। নবজাতক রাতে একটানা আট ঘণ্টা ঘুমানোতে অভ্যস্ত নয়। এমনকি তার অর্ধেকটা সময়ও তাকে শান্তিতে ঘুম পাড়িয়ে রাখা কঠিন কাজ। নবজাতকের রাতে না ঘুমানো বা অবিরাম কান্না করার কয়েকটি কারণ জেনে নিনঃ
আরো পড়ুন : প্রথম বাচ্চা সিজারে হয়েছে। দ্বিতীয় বাচ্চা কখন নেওয়া উচিত ?
১. প্রতিটি পরিণত মানুষের দিনরাতের, কাজ আর বিশ্রামের সময়ের নিজস্ব চক্র আছে। সেই চক্রে বাঁধা পড়লে বা নতুন চক্রে অভ্যস্ত হতে হলে প্রাপ্তবয়স্কদেরও কষ্ট হয়। দিন রাতের তফাৎ বোঝেনা শিশু তাই ঘুমায় না।
২. শিশুকে দিনে ঘুম পাড়ানোর পরিমাণ ধীরে ধীরে কমাতে পারেন, যাতে সে রাতে লম্বা সময় ঘুমায়। প্রয়োজনে তাকে দিনের আলোতে খেলতে নিয়ে যেতে পারেন, যাতে দিন ও রাতের তফাৎ অনুভব করা সহজ হয়।
৩. শুধু ঘুমের সময় নয়, যেকোনো সময়ই তার কান্না বা চিৎকারের কারণ হতে পারে ক্ষুধা কিংবা তৃষ্ণা। শিশুর পাকস্থলি ছোট তাই তাকে একসঙ্গে বেশি খাবার খাওয়ানো যায় না। ফলে খাওয়ানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই তার আবার ক্ষুধা লাগে। তাই ঘুমের সময় কান্না করলে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আরো পড়ুন : হিস্ট্রেকটমি অপারেশন বা জরায়ু ফেলে দেয় কেনো?
৪. নবজাতক দিনে লম্বা সময় না ঘুমালে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমন সময় ঘুমানোর অনুকূল পরিবেশ না পেলে সে জ্বালাতন করবে, চিৎকার বা কান্না করবে। এসময় চোখে ঘুমভাব আছে কি-না তা পরীক্ষা করতে হবে। যদি থাকে তবে ঘুমানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
৫. ঘরের তাপমাত্রা খুব বেশি কিংবা খুব কম হলে প্রাপ্তবয়স্কদেরই অনেকসময় ঘুমাতে সমস্যা হয়। স্বাভাবিকভাবেই নবজাতকেরও তাই হবে, তারা বরং আরও বেশি সংবেদনশীল হয়। ফলে ঘুমাতে পারেনা। আবার তার ডায়পারটা হয়ত ভেজা বা নোংরা, কিংবা হয়ত খুব আঁটসাঁট হয়ে আছে। এমন আরও অনেক অস্বস্তি তার ঘুমের বাধা হতে পারে। সেগুলো সমাধান আপনাকেই করতে হবে।