জরায়ুর ফাইব্রয়েডস বা টিউমার নিয়ে কিছু কথা
- তাসফিয়া আমীন
- অক্টোবর ৪, ২০২০
১. ফাইব্রয়েডস কি?
ফাইব্রয়েডস মূলত এক ধরণের টিউমার। সাধার ণত ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সি নারীদের এই সমস্যা দেখা দেয়।
২. লক্ষণ কি কি?
সাধারণত অনিয়মিত পিরিয়ডস, অত্যধিক রক্তপাত এবং বাচ্চা না হওয়ার সমস্যা দেখা দিলেই ফাইব্রয়েডস আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এর আলাদা অন্য কোনও লক্ষণ নেই। তবে, অনেক সময়ে হঠাৎ পেট ফুলে যাওয়াও ফাইব্রয়েডসের লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো মেয়ে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন সে প্রেগন্যান্ট, এই ভেবে। ৭-৮ মাসের প্রেগন্যান্সিতে জরায়ুর আকার যেমন হয়, এই ক্ষেত্রেও পেটের আকার তেমনই হয়েছে। অথচ চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখলেন, সেখানে বিরাট ফাইব্রয়েডস! সেই কারণেই মহিলাদের ক্ষেত্রে বছরে এক বার আলট্রাসাউন্ড করিয়ে নেওয়া উচিত। এতে ফাইব্রয়েডসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
আরো পড়ুন : তিতা স্বাদের জন্য করলা খেতে পারেন না? তৈরি করুন খাট্টা-মিঠা করলা
৩. ফাইব্রয়েডস কি কি ধরণের হতে পারে?
ফাইব্রয়েডস সাধারণত তিনটি জায়গায় হতে পারে। যেমনঃ প্রথমত, জরায়ুর দেওয়ালের বাইরের দিকে। দ্বিতীয়ত, জরায়ুর দেওয়ালের মধ্যে। তৃতীয়ত, জরায়ুর যে অংশ থেকে পিরিয়ডস হয় সেই ক্যাভিটি-তে। একে সাব-মিউকাস বলে। এই তিন নম্বরটি অর্থাৎ সাব মিউকাস ফাইব্রয়েডসই সবচেয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে। এতে পিরিয়ডসের সময়ে পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়, অত্যধিক ব্লিডিং হয় এবং পিরিয়ডসও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ মেনে হয় না। এগুলোই বারবার মিসক্যারেজ এবং সন্তান না-হওয়ার জন্য দায়ী। কারণ, জরায়ুর যে অংশে ভ্রূণ থাকে, ঠিক সেই অংশেই এই টিউমারটি অবস্থান করে।
৪. ফাইব্রয়েডস মানেই কি ক্যানসার?
অনেকে মনে করেন যে, ফাইব্রয়েডস মানেই ক্যানসার। ধারণাটি ঠিক নয়। ৩৫০ জন রোগীর মধ্যে ফাইব্রয়েডসের খোঁজ পাওয়া গেলে হয়তো দেখা যায়, এক জনের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু এর কোনটি যে ক্যানসার হবে, কোনটি হবে না, তা আগে থেলে বলা মুশকিল।
আরো পড়ুন : আচার খেতে কেন বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জানুন