শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য কি, কেন হয় এবং এর সমাধান! 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • জানুয়ারি ২০, ২০১৮

আপনার বাচ্চার প্রতিবার খাবার পর পায়খানা হতে পারে, বা দিনে একবার হতে পারে। সব কিছু নির্ভর করে ও কতটা খাচ্ছে, পানি পান করছে, হজমের ক্ষমতার উপর। আপনার বাচ্চা যদি ফর্মুলা বা সলিড খাবার খায়, তাহলে, রোজ একবার পায়খানা হওয়া উচিত। বাচ্চা যদি শুধু মায়ের দুধ খায়, তাহলে কিন্তু ২ থেকে ৩ দিনে একবার পায়খানা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। যদি আপনার সন্দেহ হয় যে আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে, তাহলে এই কয়েকটি চিহ্নের দিকে লক্ষ্য রাখুন।

(১) বাচ্চার ৩ দিনের বেশি পায়খানা হচ্ছে না।
(২) পায়খানা করার সময়ে কষ্ট হচ্ছে।
(৩) পায়খানা শক্ত এবং শুকনো।

বাচ্চার কেন কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে ?

যখন আপনার বাচ্চা প্রথম সলিড খাবার খাওয়া শুরু করে, তখন একটু কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। রাইস সিরিয়ালগুলোতে ফাইবার খুব কম থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। মায়ের দুধ খাওয়া হঠাৎ বন্ধ বা কমিয়ে দিলে বাচ্চার শরীরে পানি কম হয়ে যায়, এবং তার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
মায়ের দুধে সঠিক পরিমান প্রোটিন ও ফ্যাট আছে, যার জন্য বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। কিন্তু ফর্মুলাতে অনেক সময় কোনো একটা প্রোটিনের জন্য বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। এছাড়া পানি কম খাওয়ার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
 
কিভাবে এর চিকিৎসা করবেন ?

আপনার বাচ্চাকে একটু এক্সারসাইজ করান। বাচ্চাকে হামাগুড়ি দিতে দিন। খেলনার সাহায্যে বাচ্চাকে আরো উৎসাহ দিন হামাগুড়ি দেবার জন্য। যদি আপনার বাচ্চা হামাগুড়ি দিতে না পারে, তাহলে ওর পা দুটি সাইক্লিং করার মতো হালকা করে ঘোরাতে পারেন। আপনি আপনার বাচ্চার পেটে ম্যাসাজ করতে পারেন। নাভীর থেকে ৩ আঙ্গুল নিচে, বাঁ দিকে আঙুলের ডগা দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে পারেন।
বাচ্চার যদি ফর্মুলা খাবার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ফর্মুলার সঙ্গে একটু কর্ন সিরাপ মিশিয়ে দিন। এতে বাচ্চা ফাইবার পাবে আর তার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য কমে যাবে। ৪ আউন্স প্রতি ১ চামচের বেশি কর্ন সিরাপ দেবেন না।

যদি আপনার বাচ্চা সলিড খাবার খেতে অভ্যাস্ত থাকে, তাহলে তাকে ভাত, গাজর বা কলা কম করে দেবেন, এই সবের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। ভাল ফলাফলের জন্য আলুবোখারা, এপ্রিকট, বা নাশপাতি কয়েক টেবিল চামচ খাওয়াবার চেষ্টা করুন।আপনার শিশুকে প্রথমে পেটে ম্যাসেজ দিন,তারপর কিছু উচ্চ আঁশযুক্ত​ খাবার খাওয়ান। আপনার বাচ্চার চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। স্টুল সফটনার ব্যবহার করতে পারবেন কি না, সেটা জিজ্ঞেস করুন। কিন্তু, কক্ষনোই বিনা অনুমতিতে Laxative দেবেন না। এতে আপনার বাচ্চার ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে। যদি আপনার বাচ্চার পায়খানা শুষ্ক আর রুক্ষ হয়, পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখতে পান, বা পায়খানা করার জায়গাতে একটু ফাটল দেখতে পান, তাহলে, সেখানে একটু  Aloevera লাগাতে পারেন। ওই জায়গাটাকে যতটা সম্ভব শুকনো আর পরিষ্কার রাখুন। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 
 
কখন ডাক্তার দেখানো উচিত?

যদি আপনার বাচ্চা না খায়, ওজন হারায় বা পায়খানার সঙ্গে রক্ত থাকে, তাহলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।  যদি প্রাথমিক চিকিৎসা, যেমন খাবার পাল্টানো, কাজ না করে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আপনার ৪ মাসের শিশু যদি সাধারণ সময়ের থেকে ২৪ ঘন্টার বেশি না পায়খানা করে থাকে, তাহলে ডাক্তার দেখানো  উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিন্তু লাক্সাটিভে দেবেন না।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 
 

Leave a Comment