শীতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে শিশু থাকবে সম্পূর্ণ সুস্থ
- কামরুন নাহার স্মৃতি
- ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
শীতের সময় শিশুরা এমন খাবার পেতে চায় যার ফলে গলা ব্যথা, জ্বর, নিউমোনিয়া, পেটে ব্যথা, কানে ব্যথা, অ্যাজমা দেখা দেয়।তাই শীতকালে শিশুকে খাবার দেওয়ার বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
ফ্রোজেন মাংস: অনেক শিশু সবজি খেতে পছন্দ করে না। তাদের মূল আকর্ষণ থাকে মানুষের প্রতি। এক্ষেত্রে বাজারে যেসব ফ্রজেন মাংস পাওয়া যায়, মানে প্যাকেট জাত, তা কখনোই কেনা উচিত নয়। কেননা তা শরীরের মিউকাস উৎপাদন বাড়িয়ে গলায় ইনফেকশনের সম্ভাবনা ডেকে আনে। তাই মাছ বা ফ্রেশ মাংস শিশুকে খাওয়াতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আনারস দুধ একসাথে খেলে মানুষ সত্যি মারা যায়?
দুগ্ধজাত খাবার: চিনি আর ক্রিম এই দুই দুগ্ধজাত ঠিকই, কিন্তু কোন ও একটা মাত্রায় গিয়ে অপুষ্টিকরও।বটে কেননা তার শরীরের লালা এবং মিউকাসের ঘনত্ব বাড়িয়ে দিয়ে শিশুদের খাবার গলাধঃকরণের প্রক্রিয়াটিকে দুরূহ করে তোলে। তাই এই দুইয়ের মাত্রা শিশুর শীতকালীন খাবারের তালিকায় কম রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মেয়োনিজ: বেশিরভাগ ফাস্টফুডে এখন মেয়োনিজ দেওয়া হয়। এতে থাকে হিস্টামিন। এই হিস্টামিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেলেও শরীরে মিউকাসের পরিমাণ বাড়ে এবং থ্রোট ইনফেকশন এর সম্ভাবনা দেখা দেয়। পারলে এটি একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
বাইরের খাবার: বাইরের ভাজাভুজি যত ভালো দোকান থেকে কেনা হোক না কেন, বাইরের আমিষ ভাজাভুজির ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডও শরীরের লালা আর মিউকাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছে হলে বাড়িতে সাদা তেলে ভাজা কিছু মাঝেমধ্যে খাওয়ানো যায় শিশুকে।
আরো পড়ুনঃ বিহারি কাবাব
চকলেট: একটু-আধটু চকলেটে কোন দোষ নেই। কিন্তু লজেন্স কখনই নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা কমিয়ে ইমিউনিটি সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। পাশাপাশি কোলড্রিংস আর হাই রিফাইন্ড ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালও না দেওয়াই উচিত হবে।