বয়স ৩০ পেরিয়ে গেলে, মা হতে চাইলে আপনাকে যা মানতে হবে!
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
সংসার, চাকরি ও নানা জটিলতার কারণে সময় কখন পেরিয়ে গেছে বুঝতেই পারেননি। যখন বুঝলেন, তখন কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। বয়স ৩৪ পেরিয়েছে। তাই বলে কি চিন্তিত? মা হওয়া সম্ভব কি না, ভাবছেন? ৩৫ বছরের পর বাচ্চা হতে চাইলে কী ধরনের ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা ভালো বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. ৩৫ এর পর মা হতে চাইলে প্রস্তুতি হিসেবে ত্রিশ থেকেই শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য চেকআপ ও ডায়েটে নিয়মিত হতে হবে।
২. বয়স যত বাড়ে, সন্তান ধারণের ক্ষমতা তত কমতে থাকে। গর্ভপাতের আশঙ্কাও বেশি থাকে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, মায়ের বয়স যত বেশি হবে , বিশেষ করে পয়ত্রিশ বছরের পরে যারা মা হোন তাদের বাচ্চাদের বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি হওয়ার আশংকা বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ ছেলেরা যেভাবে চুলের অকালপক্কতা দূর করবেন
৩. বিভিন্ন জটিলতার পরিণতিতে অপরিপক্ব শিশুর জন্মহার যেমন বেড়ে যায়, সে সঙ্গে স্বাভাবিক প্রসবের পরিবর্তে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্মহারও বেড়ে যায় অনেকগুণ।
৪. প্রথম সন্তান ৩৪/৩৫ বছর বয়সে হলে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার আগে যে ২ বা ৩ বছর বিরতি দিতে হয়, সে সুযোগটা থাকে না।
৫. অনেক সময় সন্তান বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা করেন বেশি বয়সের মায়েরা। আসলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ জন্য সাধারণ কিছু পরীক্ষা যেমন অ্যালফা ফেটো প্রোটিন-এএফপি, এইচসিজি হরমোন কী পরিমাণ আছে, তা পরীক্ষা করা যেতে পারে। এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়মমাফিক চলতে হবে।