বিরক্তিকর নাক ডাকা সমস্যার কারণ ও সহজ ঘরোয়া সমাধান!
- কামরুন নাহার স্মৃতি
- ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
ঘুমে নাক ডাকার ব্যাপারে জানেন না, এমন মানুষ নেই বললেই চলে। যে ব্যক্তি অন্যের নাক ডাকার আক্রান্ত হয়েছেন, শুধু তিনিই জানেন কি জ্বালা এই নাক ডাকার। তবে আমরা হয়তো ঠিকঠাক জানিনা নাক ডাকা সম্পর্কে। ঘুমের মধ্যে যিনি নাক ডাকছেন, তার স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আর যে ব্যক্তি পাশে শুয়ে নাক ডাকার বিকট শব্দ সহ্য করছেন, তার অবস্থা করুন! আজ আপনাদের জানাবো নাক ডাকার কারণ এবং এর ঘরোয়া সমাধান...
নাক ডাকার কারণ:
- ঘুমের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাসের গতিপথ কোনভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয় নাক ডাকার শব্দ হয়।
- চিত হয়ে ঘুমালে জিহ্বা পেছনে চলে গিয়ে অনেক সময় শ্বাসনালী বন্ধ করে দেয়। তখন নাক ডাকার আওয়াজ হয়।
- শরীরের ওজন বেশি হলে গলা, পেট ও বুকের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে নাক ডাকার সমস্যা শুরু হয়।
- থাইরয়েডের সমস্যা বা গ্রোথ হরমোনের আধিক্য জনিত সমস্যা নাক ডাকার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ সর্ষে ইলিশ
- অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান বা ঘুমের ওষুধ খেলে নাক ডাকার সমস্যা বাড়তে পারে।
সমস্যা সমাধানে করণীয়:
- প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এবং ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত মাখন গরম করে গলিয়ে নিয়ে নাকের দুই ছিদ্রে ১ ফোঁটা করে দিয়ে দিন। বেশ উপকার পাওয়া যাবে।
- রাতে ঘুমানোর সময় ১ গ্লাস গরম পানিতে আধা চামচ এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে নিন। উপকার পাবেন।
- রাত আটটার পর ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, আর কখনোই বেশি খাওয়া উচিত। সন্ধ্যার পর বেশি খেলে হজমে বেশি শক্তি খরচ হয়। ফলে ঠিক করে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
- খাওয়ার ঠিক পরেই ঘুমানো উচিত না। একটু সময় নিয়ে না ঘুমালে হজমের সমস্যা জনিত কারণে শ্বাসকষ্ট হয়।
- চিত হয়ে শোয়ার পরিবর্তে এক পাশ ফিরে শোয়ার অভ্যাস করুন। নাক ডাকা অনেকটাই কমে যাবে। তবে নাক ডাকার আওয়াজ অস্বাভাবিক হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।