পায়ে পানি আসা প্রতিরোধে যা করবেন জানুন
- কবিতা আক্তার
- মার্চ ২৫, ২০২১
পা ফোলা বা পায়ে পানি আসা নানাবিধ কারণ আছে। অনেক সময় তা হয়ত মামুলি বা জটিল কোনো সমস্যার লক্ষণ। পায়ে পানি আসার বিষয়ে তাই অন্যান্য লক্ষণ বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্তে আসা উচিত। বয়স্ক ব্যক্তি, বিশেষ করে নারীদের, ওজনাধিক্য, রোগীদের, মাসিক চলাকালীন, গর্ভাবস্থায়, দীর্ঘসময় যানবাহনের পা ঝুলিয়ে বসে থাকার কারণে বা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে অনেকের পায়ে পানি নামতে পারে। এটি সামরিক এবং পা উচু করে শুয়ে থাকলে তা এমনিতেই চলে যায়। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে লেবু পানি পানে আপনি কি কি পাবেন ?
তবে পা ফোলার কারণটি গুরুতরও হতে পারে। কিডনি ও যকৃতের সমস্যায় শরীরে, বিশেষ করে পায়ে পানি আসে। অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় পায়ে পানি জমতে পারে। ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব, মনোযোগের অভাব, অনিয়মিত মাসিক, শুষ্ক ত্বকে ইত্যাদি সঙ্গে থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা আছে কিনা দেখুন।
কেননা হরমোনের এই জটিলতায় পায়ে পানি আসা খুবই স্বাভাবিক। কিছু কিছু ঔষধ ও পায়ে পানি আসার জন্য দায়ী। যেমন: ব্যথানাশক, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহৃত অ্যামলোডিপিন, ডায়াবেটিসে ব্যবহৃত পায়োগ্লিটাজোন, এমনকি ইনসুলিন ইত্যাদি। গর্ভকালীন অবস্থায় পা ফোলাটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।
আরো পড়ুনঃ কেমন হবে অন্দরমহলের সিঁড়িঘর !
কিন্তু এই সঙ্গে যদি উচ্চরক্তচাপ ও প্রস্রাবে আমিষ চাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তবে তা হতে পারে প্রি অ্যাকলাম্পসিয়ার মতো মারাত্মক সমস্যার লক্ষণ। সাধারণত ওপরের এসব পা ফোলার সঙ্গে ব্যথা থাকার কথা নয়।
তবে হঠাৎ করে পায় তীব্র ব্যথা ও চামড়া লাল হয়ে পা ফুলে গেলে সাবধান হওয়া উচিত। এটি হতে পারে সংক্রমণ বা পায়ে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার মতো গুরুতর ও জরুরি কোনো সমস্যা, এ অবস্থায় শিগগিরই চিকিৎসা প্রয়োজন।