আপনাদের সাধারণ অভ্যাসগুলোই আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ায়
- কবিতা আক্তার
- এপ্রিল ১৫, ২০২১
ব্যথার জন্য দায়ী কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ব্যথার জন্য দায়ী কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে মাইগ্রেন সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
১. পেট খালি রাখা: পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়, যা মাইগ্রেনের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ ও ব্রণের বিশ্রী দাগ দূর করুন
২. আবহাওয়া: অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরি কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতার তারতম্যে মাইগ্রেনের ব্যাথা শুরু হয়ে থাকে।
৩. মানসিক চাপ: যারা অনেক বেশী যে আপনি একটানা কাজ করেন এবং নিজের ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে পারেন না, তাদের বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব মানসিক চাপে থাকলে এক কাপ লেবু চা খেয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক কিছুটা রিল্যাক্স হবে।
৪. অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া: আমরা যখন অনেক বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেয়ে ফেলি তখন আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ইনসুলিন উৎপাদন হয়ে থাকে। যার ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায়। এভাবে হঠাৎ হঠাৎ রক্তের সুগারের মাত্রা তারতম্য হওয়ার কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায়
৫. অতিরিক্ত আওয়াজ: অতিরিক্ত আওয়াজ, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে। প্রচন্ড জোরে আওয়াজের কারণে প্রায় দুদিন কানা মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬. অতিরিক্ত ঘুমানো: মাত্র একদিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। যেমন, যারা নিয়মিত মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা করে ঘুমান, তারা যদি হুট করে একদিন বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।