দুপুরে ভাত-ঘুমের কয়েকটি আশ্চর্য উপকারিতা জানুন
- কামরুন নাহার স্মৃতি
- এপ্রিল ২৪, ২০২১
দুপুরে ভাত খেয়ে অফিসে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বেশিরভাগ মানুষকেই। ভাত খাওয়ার পর ঝিমুনি ভাব বা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে কাজ করাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু জানেন কি এই ভাত-ঘুম আমাদের শরীর-মনের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একাধিক গবেষণায় সামনে এসেছে ভাতঘুমের বেশ কয়েকটি উপকারিতা। আসুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক...
১. একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুম কম হলে আমাদের শরীরে করটিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ হরমোনের প্রভাবে বেড়ে যায় মানসিক চাপ। দিনের বেলা অল্প সময়ের জন্য হলেও এ ভাত-ঘুম বা ন্যাপ আমাদের শরীরের সক্রিয় করটিসলের খরচ কমাতে সাহায্য করে। ফলে মানসিক চাপ কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ দোকানের মতো পারফেক্ট মিষ্টি দই তৈরির ঘরোয়া রেসিপি
২. অফিসে হোক বা বাড়িতে, আপনি যেখানে যে কাজ করছেন, সে কাজেই প্রয়োজন মনসংযোগ এবং সজাগ দৃষ্টি। একটি মার্কিন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ৪০ মিনিটের ভাত-ঘুম বা ন্যাপ যেকোনো কাজেই আমাদের ১০০ শতাংশ সজাগ আর সতেজ করে তোলে। গবেষকদের দাবি, শরীর চাঙ্গা আর তরতাজা রাখতে প্রতিদিন অন্তত২০ মিনিটের ভাত-ঘুম বা ন্যাপ প্রয়োজন।
৩. একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিটের ভাত-ঘুম বা ন্যাপ আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. কাজের ফাঁকে মিনিট কুড়ির ভাতঘুম বা ন্যাপ আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে আরো সজাগ, সক্রিয় করে তোলে। এর ফলে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায় আর কাজের মান উন্নত হয়।
আরো পড়ুনঃ শুঁটকি খাওয়া ভালো না খারাপ? জানুন সতর্কতাসহ
৫. বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজের ফাঁকে অন্তত মিনিট ২০ এর ভাতঘুম বা ন্যাপ সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।