এই ১০টি খাবার আপনার দেহে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- এপ্রিল ২৮, ২০২১
রক্ত মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলোর একটি। যা দেহের সকল অংশে অক্সিজেন এবং সব ধরনের পুষ্টি উপাদান বয়ে নিয়ে যায়। দেহের রক্তের কোন উপাদান কম থাকলে সুস্থভাবে বাঁচা সম্ভব নয়। রক্তে আছে লাল রক্তকণিকা, সাদা রক্তকণিকা, এবং প্লেটলেট। লাল রক্ত কোষে আছে বিশেষ কিছু আয়রন কম্পাউন্ড, মেডিকেল টার্মে যাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিন।
হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হল হৃদপিণ্ড থেকে দেহের সব অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করা। হিমোগ্লোবিন দেহকোষ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও সংগ্রহ করে এবং তা পুনরায় ফুসফুসের কাছে পৌঁছে দেয় যাতে তার নিঃশ্বাসের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যেতে পারে। সুতরাং রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে দেহ অক্সিজেনের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে রক্তশূন্যতার মত রোগ হয়।
আর এ থেকে বাঁচার উপায় হল হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এমন কিছু খাবার খাওয়া। এখানে এমন ১০টি খাবারের তালিকা দেওয়া হল যেগুলো নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের কেনাকাটায় কনের কসমেটিকসের তালিকায় কি কি থাকা অতি আবশ্যক?
১. মাংস: রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দ্রুত বাড়াতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রাণীজ প্রোটিন। সকল ধরনের লাল মাংস: যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং কলিজা আয়রনের সবচেয়ে ভালো উৎসগুলোর একটি। আয়রন হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য জরুরী। মুরগির মাংস লাল মাংস না হলেও তাও দেহকে বিশাল পরিমাণে আয়রন সরবরাহ করতে পারে।
২. ফল: সব ধরনের রসালো সাইট্রাস ফল, যেমন, আম, লেবু এবং কমলা ভিটামিন সি'র সবচেয়ে ভালো উৎস। আর দেহে আয়রন দ্রুত শুষে নেয়ার জন্য ভিটামিন সি সবচেয়ে জরুরি। এর ফলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের গতি বাড়ে। স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ, পেয়ারা এবং বেদনাতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে।
৩. সামুদ্রিক খাদ্য: সামুদ্রিক খাদ্যে আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ পুষ্টি উপাদান আছে প্রচুর পরিমাণে। সুতরাং এনিমিয়া বা রক্ত শূন্যতার রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অয়েস্টার, ক্লামস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর সামুদ্রিক খাদ্য রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কেমন হবে আপনার খাবার টেবিলের সাজসজ্জা ?
৪. কলাই বা শুটিজাতীয় খাদ্য: সয়াবিন, ছোলা এবং বিন জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। সয়াবিন বর্তমানে সবজি ভোজীদের জনপ্রিয় একটি খাদ্য। এর থেকে সুস্বাদু সব খাবার তৈরি হয় এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় দ্রুতগতিতে।
৫. পূর্ণশস্য জাতীয় খাদ্য: চাল, গম, বার্লি এবং ওটস রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য চমৎকার আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। এসব খাবার প্রয়োজনীয় কার্বহাইড্রেটস ও সরবরাহ করে। লাল চাল বিশেষ করে সব বয়সীদের জন্য আয়রনের একটি সমৃদ্ধ উৎস বলে গণ্য হয়।
৬. সবজি: প্রতিদিন তাজা সবজি খেলে আয়রন ও অন্যান্য খনিজ পুষ্টি এবং নানা ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি মিটবে। আলু, ব্রকলি, টমেটো, কুমড়া এবং বিটরুট আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সক্ষম। এছাড়া স্পিনাক সহ অন্যান্য সবজির আয়রনসমৃদ্ধ।
আরো পড়ুনঃ নিজেই নিজের চেহারায় ফুটিয়ে তুলুন গোলাপি আভা
৭. ডিম: দিন হলো আরেকটি জনপ্রিয় খাদ্য যাতে আছে উচ্চমাত্রার আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। ডিমের হলুদ কুসুমে আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পুষ্টি এবং ভিটামিন। আর এ কারণেই দুর্বল লোকদেরকে প্রতিদিন সেদ্ধ ডিম খেতে বলা হয়।
৮. শুকনো ফল: কিসমিস, অ্যাপ্রিকট বা খুবানি এবং খেজুরে আছে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন এবং আঁশ। এসব খাবার খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়ে দ্রুতগতিতে।
৯. বাদাম: যেকোন ধরনের বাদামই মানবদেহের জন্য উপকারী। বাদাম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকে নিয়ে আসুন এক্সট্রা গ্লো
১০. ডার্ক চকোলেট: শিশুদের প্রিয় খাবার ডার্ক চকোলেটেও থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আর এ কারণে ডাক্তাররাও ডার্ক চকোলেট খেতে বলে। এই সবগুলো খাবারই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়।