তেতো খাওয়ার বিস্ময়কর গুণাগুণ জানুন
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ৯, ২০২১
তেতো শুধু মুখের স্বাদ বদলায় এমনি নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, বিপাক হার বাড়িয়ে তুলতে, কিছু মরশুমি অসুখ রুখে দিতে এইসব শাকসবজির ভূমিকা অনেক। কিছু কিছু তেতো সবজির মৌসুম অনুযায়ী মেলে।
প্রকৃতির নিয়মেই ওই সময়ের কোনো অসুখ প্রতিরোধ করতে ওই সব সবজি সে সময়ই ফলে। এছাড়াও রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, এসব নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তেতোর ভূমিকা অনেক। তাই বছরের বিভিন্ন সময় খাবার পাশে কোন কোন দেশ রাখলে সারা বছরই ভিতর থেকে অনেকটা সুস্থ থাকা যাবে।
আরো পড়ুনঃ ডিভোর্স কমানোর কিছু কার্যকরী উপায় !
উচ্ছে/করলা: সারা বছরই মেলে এই সবজি। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। উঠছে বা করলার রস প্রতিদিন খেলে ডায়াবেটিসের বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
পলতা: বাঙালি শুক্তো রান্নার অন্যতম উপাদান এই পাতা। পলতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশি, তাই রোগ প্রতিরোধের পলতার গুণের শরীরে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে অনেকেই পলতা পাতার বড়া করে খান, তেলে পড়লে এইসব পাতার গুণ অনেকটাই নষ্ট হয়। তাই তরিতরকারিতেই এদের ব্যবহার করা ভালো।
নিম পাতা: প্রাকৃতিকভাবেই নিমপাতা জীবানুনাশক। ত্বকের নানা অসুখ দূর করতেও জীবাণুনাশক হিসেবে পাতার ব্যবহার সর্বজন গ্রাহ্য। স্নায়বিক সমস্যা সারাতেও ক্ষুদ্রান্তে ব্যাকটেরিয়ার হানা ঠেকাতে মরসুমে রাখুন নিমপাতা।
আরো পড়ুনঃ আপনার চুলের খুশকি দূর করুন এখনই
মেথি: মেথি শাক আর মেথির দানা, বাঙালি রান্না এ দুইয়ের ব্যবহারই যথেষ্ট। ডায়াবেটিস সামাল দিতে ও শরীরে অম্লের ভাব কমাতে মেথি সাহায্য করে। চুলের খাদ্য জোগাত মেথির ব্যবহার যথেষ্ট। তাই এই তেতো মসলা ও রকম খাবার পাতে।
সজনে ফুল: বসন্তের খাবার পাতে রাখুন প্রায়ই। বসন্ত রোগের হানার উঠতে যেমন কাজে আসে, তেমনি ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, সর্দি-জ্বরের উপশমে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকায় সদ্য মা হয়েছেন এমন কারো ডায়েটের সজনে ফুল রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
আরো পড়ুনঃ কম খরচে পছন্দমতো সাজিয়ে নিন আপনার ঘর