আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কিনা জেনে নিন
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ১৪, ২০২১
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এর পর আমরা জেনেছি, শুধু পরিচিত ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া নয়, নতুন বা অপরিচিত জীবাণু ঠেকাতেও রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করা দরকার। সেজন্য জেনে নিতে হবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কিনা। কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কিনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পেটের সমস্যা হলে: বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের অন্ত্রে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার একটি বড় অংশ থাকে। আমাদের গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল ট্রাক্টরে সংক্রমণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সরবরাহকারী অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে।
আরো পড়ুনঃ মজাদার চিকেন চিজ বার্গার
এই উপকারী ব্যাকটেরিয়ার মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা দেখ দেখা দিলে সংক্রমিত হওয়ার ভয় বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে বাড়ে আরো অনেক রোগের ভয়। অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া খাবার হজমে সাহায্য করে। আপনার যদি পেটের সমস্যা বেড়ে যায় তবে বুঝবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেছে।
মুখে আলসার হলে: অনেক সময় মুখের জিহ্বা বা গালের ভেতরের অংশে কামড় বসে গেলে ঘা হতে পারে। তবে কোনো কারণ ছাড়াই যদি এমন ঘায়ের সমস্যা বার বার দেখা দেয় তবে বুঝে নেবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। এছাড়া অনেক সময় মানসিক চাপ থাকলেও মুখের ঘায়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।
বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকা: এমন অনেকেই আছেন যারা বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। আবার অসুস্থ হলে সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে সহজেই বোঝা যায় যে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। সেই সুযোগে ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণু শরীরে প্রবেশ করছে। কিন্তু আপনার শরীর তাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে পারছে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কারো বছরে তিনবার ঠান্ডার সমস্যা অথবা সর্দি-কাশি দেখা দেয় এবং সুস্থ হতে সময় লাগে তাহলে বুঝে নিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এছাড়া কাটাছেঁড়া সারতে সময় লাগলেও বুঝতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী নয়।
আরো পড়ুনঃ ঘরেই বানান দারুণ মজাদার সুজির চমচম
প্রচন্ড ক্লান্তি বা অবসাদ: অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম এর পর ক্লান্তি জেঁকে বসে যেন। বিশ্রাম নিলে ও ক্লান্তি কাটেনা। এমনটা হলে সতর্ক হোন। এর কারণ হতে পারে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি শক্তির। ফলে দেখা দেয় অতিরিক্ত ক্লান্তি।