গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার
- তাসফিয়া আমীন
- আগস্ট ৭, ২০২১
গর্ভাবস্থায় আরেকটি সাধারণ সমস্যা হলো উচ্চ রক্তচাপ। এটি এমন একটি জটিল অবস্থা যা শিশু এবং তার মা-য়ের জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। সাধারণত গর্ভাবস্থার তিন মাসের পর যদি রক্তচাপ বেড়ে যায়, তবে তাকে জেসটেশনাল হাইপারটেনশন বা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত এই উচ্চরক্তচাপ থাকে এবং ডেলিভারির তিন মাসের মধ্যে এটি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ দাগহীন ত্বক পাবেন মধু,বাদাম, টকদইয়ের ব্যবহারে
লক্ষণঃ সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য লক্ষণ থাকে না। তবে পা ফোলা থাকতে পারে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যথা হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখতে পাওয়াও আরেকটি লক্ষণ। এবং অনেক ক্ষেত্রে খিঁচুনিও হতে পারে।
জটিলতাঃ প্রি-একলাম্পসিয়া ও একলাম্পসিয়ার মূল কারণ উচ্চ রক্তচাপ। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের কারণে পা ফোলা, মাথা ব্যথা, শরীরে পানি জমা, চোখে ঝাপসা দেখা, হার্ট ফেইলিউর, রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। কাদের ঝুঁকি বেশি? যেসব মায়েদের গর্ভধারণের আগে থেকেই ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাঁদের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া ওজনাধিক্য, পরিবারে গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস থাকলে বা ২০ বছরের কম ও ৪০ বছরের বেশি বয়সে মা হলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
করণীয়ঃ
১. গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন। রক্তচাপ বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।
২. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, গরু-খাসির মাংস, ডীপ ফ্রাইড খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রচুর তাজা শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, ডিম, মাছ খান।
৩. খাবার পাতে অতিরিক্ত লবণ খাবেন না। কারণ, লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবারও খাওয়া যাবে না। যেমনঃ সালাদে বা ফলের সঙ্গে লবণ দেওয়া হয়, এসব এড়িয়ে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া রোধ করবে ঘি, উপকারিতা সহ
৪. ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। দুধ, দই, পনির, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, শিম, গাজর ইত্যাদি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।
৫. ধূমপান, জর্দা, তামাক, অ্যালকোহল একেবারেই নিষিদ্ধ।