গর্ভকালীন রক্তশূন্যতা, জটিলতা ও করণীয় সম্পর্কে জানুন
- তাসফিয়া আমীন
- আগস্ট ১১, ২০২১
গর্ভাবস্থায় অনেক শারীরিক সমস্যার মধ্যে রক্তশূন্যতা একটি। যেটা মা ও গর্ভস্থ বাচ্চার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। রক্তশূন্যতা কেনো হয়? গর্ভকালীন সময়ে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরির সাথে সাথে অতিরিক্ত লৌহ বা আয়রনের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়।
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আয়রন পূরণ না হলে এ সময় রক্তশূন্যতা হয়। গর্ভবতীর থেকে রক্তশূন্যতা ও পুষ্টিহীনতা থাকলে গর্ভাবস্থায় এর ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। বেশি গ্যাপ না দিয়ে ঘনঘন একাধিক সন্তান জন্মদানের ফলেও রক্তশূন্যতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ অকালে চুল পাকা রোধের ৫ ঘরোয়া উপায়
কিভাবে বুঝবেন রক্তশূন্যতায় ভুগছেন?
অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার শুরুতে রক্তশূন্যতার তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ নাও পেতে পারে।
শরীর দুর্বল লাগা ও সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তি বোধ করা রক্তশূন্যতার প্রধান লক্ষণ। মাথা ঝিমঝিম করতে পারে। অতিরিক্ত রক্তশূন্যতায় মুখাবয়ব ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং চোখ সাদা হয়ে যায়। এছাড়াও জটিলতা হিসেবে জিহ্বা ও মুখে ঘা, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট এবং পা ফুলে যেতে পারে।
রক্তশূন্যতার জন্য গর্ভাবস্থায় কি কি জটিলতা হতে পারে? অতিরিক্ত দুর্বলতা, হাত-পায়ে পানি আসা, শ্বাসকষ্ট, গর্ভকালীন সময়ে এবং প্রসবের পর সংক্রমণের আশঙ্কা, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশুর জন্ম এগুলো প্রাথমিক জটিলতা। এছাড়াও এসময় রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। আর শিশুর ভ্রূণের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, শারীরিক ত্রুটিযুক্ত শিশু প্রসব, জন্মের আগেই গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
কি করবেন?
গর্ভধারণের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় থেকেই শরীরে পর্যাপ্ত আয়রনের যোগান দিতে হবে। এজন্য প্রচুর আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেসব সবজি বা ফল কাটার পর কালো হয়ে যায় সেগুলোতে আয়রন বেশি থাকে। যেমনঃ কচুশাক, কাঁচা কলা, লালশাক, পেয়ারা, কলার মোচা ইত্যাদি। এছাড়াও শিম, মাছ, ডিম, মটরডাল, বাঁধাকপি, কলিজাও আয়রনের ভালো উৎস।
আরো পড়ুনঃ ব্রণের সমস্যা দূর করবে ড্রাগন ফল
প্রথম বাচ্চা থেকে দ্বিতীয় বাচ্চার মধ্যে কমপক্ষে দুই বছর গ্যাপ থাকতে হবে। গর্ভধারণের তিন মাস পর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে। এই ট্যাবলেট বাচ্চা জন্ম হওয়া পর্যন্ত খেতে হবে। রক্তশূন্যতায় ভুগছেন কিনা সেটা জানতে গর্ভাবস্থায় বেশ কয়েকবার রক্তের হিমোগ্লোবিন টেস্ট করা জরুরি