গর্ভাবস্থায় যেমন খাবার খাবেন
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ১৪, ২০২১
গর্ভাবস্থায় মা ও বাচ্চার পুষ্টির জন্য অন্য সময়ের চেয়ে অধিক ক্যালরি বা খাবারের দরকার হয়। আমাদের দেশে গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিহীনতার প্রধান কারণ কুসংস্কার ও অসচেতনতা। অনেকের ধারণা, গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার খেলে গর্ভের শিশু বড় হয়ে যাবে। একারণে, নরমাল ডেলিভারি হবে না। তখন সিজারের প্রয়োজন পড়বে, যা একেবারেই ভিত্তিহীন।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে শসা ব্যবহার করবেন কেন?
কোন খাবার খাবেন?
হবু মায়ের খাবার নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব রকম উপাদানই খাবারে থাকে। আঁশজাতীয় খাবার যেমন- লাল আটার রুটি, শাকসবজি ইত্যাদি খেতে হবে। এই খাবারগুলো গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সাহায্য করে। সুস্থ শরীর ও প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডে শক্তি প্রদানকারী খাবারগুলোর মধ্যে আছে আটা, গম, পাস্তা, নুডলস, ওটস, আলু ইত্যাদি।
ফলমূল ও শাকসবজি থেকে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, শিম, সয়া, দই, পনির ইত্যাদি। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন অন্তত ১টা ডিম এবং ২ বার দুধ খেতে পারলে খুবই ভালো।
আয়রন পাওয়া যায় এমন খাবারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সবুজ শাক, লাল মাংস, বাদাম, কচুজাতীয় সবজি, কাঁচাকলা ইত্যাদি। এসময় দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করতে হবে।
কোন খাবার খাবেন না?
কিছু খাবার আছে যা গর্ভবতী মা ও বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। যেমনঃ কাঁচা দুধ, আধা সিদ্ধ মাংস, অপরিষ্কার শাকসবজি। এসব খাবার গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। কামরাঙ্গা, আনারস বা কাঁচা পেঁপেতে কিছু এনজাইম থাকে যা ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ শসা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। কারণ এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি পায়ে পানি আসা বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ফুলে যেতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত চা-কফি ও ঠান্ডা পানীয় বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর।