গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা, কারণ ও প্রতিকার
- তাসফিয়া আমীন
- আগস্ট ৩০, ২০২১
গর্ভকালীন কোমর ব্যথা খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। অধিকাংশ হবু মায়েরাই এই ব্যথায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শেষের দিকে কোমর ব্যথা একটি বড় কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যথার কারণে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে কষ্ট, রাতে ঘুম না আসা সহ আরো অনেক সমস্যা হয়।
কোমর ব্যথার কারণ কি?
১। গর্ভাবস্থায় বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে শরীরের ওজন বাড়ে। অতিরিক্ত এই ওজন পেশি ও সন্ধির ওপর চাপ দেয়। যার কারণে ব্যথা হয়।
২। জরায়ু বড় হয়ে যাওয়ায় হবু মায়েরা নিজের অজান্তেই কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটাচলা করে। কোমর বাঁকানোর ফলেও হতে পারে ব্যথা।
আরো পড়ুনঃ পটেটো ললিপপ
৩। অনেক সময় মাতৃত্বকালীন স্ট্রেসও কোমর ব্যথার কারণ হিসেবে কাজ করে।
৪। যেসব মায়েদের গর্ভধারণের আগে থেকেই ব্যাক পেইন থাকে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এই ব্যথা বেশি হতে পারে।
ব্যথা হলে কি করবেন?
১। কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম কোমরের পেশি ও সন্ধির কার্যক্ষমতা বাড়াবে, যার ফলে ব্যথা কমবে। গর্ভাবস্থায় হালকা হাঁটাহাঁটি ও সাঁতার হলো সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন।
২। চিত হয়ে না ঘুমানো যাবে না, বাম কাত হয়ে শুতে চেষ্টা করুন। ঘুমানোর সময় দুই পায়ের মাঝে বালিশ ব্যবহার করতে পারেন, যাতে ওপরের পায়ের ভর বালিশে পড়ে। পেটের নিচেও বালিশ ব্যবহার করতে পারেন।
৩। হাইহিল বা একদম ফ্ল্যাট জুতো, দুটোই শরীরের ওজনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এসময় হালকা উঁচু নরম সোলের জুতো ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ কেরালা মাটন কারি
৪। গরম ও ঠান্ডা পানির সেঁক নিতে পারেন। হালকা ব্যথায় সেঁক খুব কার্যকর। তবে গর্ভাবস্থায় পেটে কখনো এ ধরনের সেঁক দেবেন না।
৫। ইয়োগা, মেডিটেশন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। বাসায় বসে ইয়োগা করার চেষ্টা করুন।
৬। নিচু হয়ে ঝুঁকে কোনো কাজ করা যাবে না। সোজা দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করুন। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না, কিছুক্ষণ পর পর বসে বিশ্রাম নিন। ভারী কিছু ওঠানো যাবে না।