গর্ভাবস্থায় ত্বক-চুলের যত সমস্যা ও সমাধান
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই নানান শারীরিক পরিবর্তন ঘটে । ত্বকের কোনো অংশ কালো হয়ে যাওয়া কিংবা চিরে বা ফেটে দাগ সৃষ্টি হওয়ার (স্ট্রেচ মার্ক) সমস্যায় কমবেশি সব অন্তঃসত্ত্বা নারীই পড়েন। অনেক সময় এই সমস্যা সন্তান প্রসবের পরও থেকে যায়। তাই এ সময় ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।
ত্বক ও চুলে কি কি সমস্যা হতে পারে?
১। গর্ভবতীর ত্বকে এসময় মেছতা বা চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে। হবু মায়ের ত্বকে আগে থেকে অ্যালার্জিজনিত একজিমা থাকলে এ সময় তা বেড়ে যেতে পারে।
২। এসময় পেটে দাগ (স্ট্রেচ মার্ক) হওয়াটা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। অনেক সময় পায়ে ও কোমরেও এই দাগ দেখা যায়।
৩। স্ট্রেচ মার্কের স্থানগুলোতে ফোসকা পড়তে পারে। চুলকানির পাশাপাশি ত্বকের কোনো অংশ ফুলে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ শিম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
৪। কারও ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদনের কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের ত্বক কালচে হয় যায়। বিশেষ করে মুখে ও ঘাড়ে এই সমস্যা বেশি হয়।
৫। চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল পড়া এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন বেশিরভাগ হবু মায়েরা। খাদ্যে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলের ঘাটতি, নিজের প্রতি উদাসীনতা ইত্যাদি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কিভাবে যত্ন নেবেন?
- প্রতিদিন মুখের ত্বক পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ঘরোয়া উপাদান দিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন। চালের গুড়া ও মধুর প্যাক দিয়ে খুব ভালো স্ক্রাবিং করা যায়।
আরো পড়ুনঃ মাত্র ১০ মিনিটে তৈরি করুন সুজির চপ
- গোসলের পরপর ও রাতে শোয়ার আগে শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। পেট, ঊরু ও শরীরের অন্যান্য অংশে ফেটে দাগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই পুরো শরীরেই প্রতিদিন তেল, গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি, ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন যেকোনোটি লাগান। সম্ভব হলে দিনে বেশ কয়েকবার তা ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ফাটা অনেকাংশে কমবে।
- ঘাড় বা গলার কালচে ভাব কমাতে বাড়িতেই প্যাক তৈরি করতে পারেন। ২ টেবিল চামচ টকদই, ১ টেবিল চামচ বেসন ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। সপ্তাহে ২ বার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
- আমলকী, হরিতকি, টক দই, ডিম, কাঁচা মেহেদি দিয়ে চুলের প্যাক তৈরী করে সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করলে চুল ঝরঝরে থাকবে ও চুল পড়া অনেকটায় কমে যাবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং সুষম খাদ্য গ্রহন ও পানি পান করতে হবে এসময়। গর্ভাবস্থায় শরীরে প্রোটিন-এর প্রয়োজন বেড়ে যায় কিন্তু আপনি যদি যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করেন তবে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে আপনার চুল ও ত্বকের উপর। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সুষম খাদ্য এবং ভিটামিন গ্রহণ করুন।
আরো পড়ুনঃ ওলকচু চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত