ওমিক্রন এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?
- কবিতা আক্তার
- ডিসেম্বর ২০, ২০২১
করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বে। এরমধ্যে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট বিশ্বের ৭৭ টি দেশে ছড়িয়েছে। তবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ওমিক্রন এর উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধারণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রধান ড. তেদরাস আধানাম গেব্রিয়াসুস জানিয়েছেন, ভেরি আন্টি অপ্রত্যাশিত ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। আগের ভেরিয়েন্ট গুলোকে ওমিক্রন এর মত এত দ্রুত ছড়াতে দেখি নি।
আরো পড়ুনঃ বাথরুমে টুথব্রাশ থাকলেই বিপদ!
কিছুদিন আগেও করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ থেকে বিদেশে। এবার নতুন এই করোনাভাইরাস এর ভেরিয়েন্ট নিয়ে আশঙ্কায় আছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরো দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটেছে অনেক পরিবর্তন। এ বদলে যাওয়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কাজ করবে টিকা, তাই নিয়ে সন্ধিহান মানুষ। তাই সব মহলেই এই ভাইরাস কে কেন্দ্র করে আতঙ্ক বাড়ছে।
এমন অনেক আক্রান্তের খবর মিলেছে যারা করণা দুটি দজ এমনকি বুস্টার নেওয়ার পরেও ওমিক্রন এ আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুটি টিকা বা বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরেও ওমিক্রন থেকে আপনার কোন ভয় নেই, এ ধারণা রাখবেন না। কারণ ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এর ধরন থেকে শারীরিক ক্ষতি করার মাত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন পর্যায়ের।
টিকা নেওয়ার পরও কতটা ঝুঁকে আছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার? এ প্রসঙ্গে ভারতের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. আশিস মিত্র জানান, টিকা নেওয়ার পরও হতে পারে করোনা। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে টিকা সম্পন্ন হওয়া ২০-৩০ শতাংশ মানুষের ফের সংক্রমণ হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ বয়সের ছাপ কমান মাত্র ৩ ঘরোয়া উপকরণে
কারণ কোনো ভ্যাকসিনই সম্পূর্ণ কার্যকর নয়। আর করোনা যখন নিজের রূপ বদল করেছে সে ক্ষেত্রে আগে তৈরি হওয়া এই টিকা কতটা রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে তা সময়ই বলবে। তবে মানুষকে থাকতে হবে সতর্ক।
এমনকি করোনার দুটি টিকা নেওয়া অনেক ব্যক্তিদেরও শরীরে ওমিক্রন থাবা বসাতে পারে। আসলে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এমন মানুষের টিকা নেওয়া থাকলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
কারণ এসব মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে। আবার বয়স ৬০ বছরের বেশি হলেও সতর্ক থাকতে হবে কারণ এই বয়সেও ইমিউনিটি কমে। এছাড়াও যারা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন তাদের ও বিশেষভাবে সচেতন হওয়া উচিত।
পাশাপাশি যারা হাসপাতালে কাজ করেন তাদের ও সংক্রমণ ঘটতে পারে। অন্যদিকে ভিড় কিংবা গণপরিবহনে যারা যাতায়াত করেন, মাস্ক পড়েন না, এমন মানুষগুলোর ও টিকা নেওয়ার পর হতে পারে সংক্রমণ।
আরো পড়ুনঃ দই চিকেন রেসিপি
টিকা নেওয়া থাকলেও ওমিক্রন হতে পারে, তাই বলে যে করণা টিকা গ্রহণ করবেন না তা কিন্তু ঠিক নয়। কোভিডের দুটি টিকা অবশ্যই নিতে হবে। এটি ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত বিধি মেনে চলুন। যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে অযথা আতঙ্কিত হবেন না।