মেঝেতে ঘুমানোর ৬টি অসাধারণ উপকারিতা
- কবিতা আক্তার
- ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
সুন্দর খাট আর ম্যাট্রেসের কারণে মেঝেতে ঘুমানোর চল নেই বললেই চলে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাটিতে ঘুমানো বেশ স্বাস্থ্যকর। এভাবে শোয়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
প্রথম দিকে একটু অস্বস্তি লাগলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। বোল্ডস্কাই জানিয়েছে মেঝেতে শোয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা কথা।
আরো পড়ুনঃ ডিভোর্স শব্দটা খারাপ নাকি ডিভোর্সি শব্দটা ?
পিঠের ব্যথা প্রতিরোধে: অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, মাটিতে ঘুমালে মেরুদন্ড ভালোভাবে সোজা এবং সারিবদ্ধ থাকে। অর্থাৎ এর সঠিক অঙ্গবিন্যাস হয়। এটি কোমর ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ঘুমের সমস্যা: বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, মাটিতে ঘুমালে ইনসোমনিয়া কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়।
ঘাড়ে ব্যথা: ঘাড় সোজা না থাকলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। অর্থাৎ আঁকা বাঁকা হয়ে ঘুমালে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে তবে মেঝেতে ঘুমালে এই ব্যথা এড়ানো যায়।
রক্ত সঞ্চালন: মেঝেতে ঘুমালে রক্তসঞ্চালন অনেক ভালো হয়। শরীর ভালো রাখতে ভালো রক্তসঞ্চালন জরুরি। মনে রাখবেন ঘুম আরোগ্যের অন্যতম পথ।
পৃষ্ঠদেশ ভালো থাকে: মেঝেতে ঘুমালে পৃষ্ঠদেশ ভালো থাকে। আমরা সবাই জানি ঘুমের সময় পিঠ সরলরেখায় বিন্যস্ত না থাকলে পেশি ব্যথা হতে পারে। নিচে ঘুমালে পৃষ্ঠদেশ অর্থাৎ মেরুদন্ড সারিবদ্ধ থাকে এবং ব্যথা প্রতিরোধ করা যায়।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের কেনাকাটায় কনের কসমেটিকসের তালিকায় কি কি থাকা অতি আবশ্যক?
সঠিক অঙ্গবিন্যাস: অধিকাংশ মানুষ সারাদিন বাজে বা ভুল অঙ্গবিন্যাস এ কাজ করেন। এছাড়া আপনি যখন ঘুমের মধ্যে ভুল অঙ্গবিন্যাস এ ঘুমান, এটা স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তবে মেঝে আছে আপনার এই সমস্যা ঠিক করতে পারে। মেঝেতে ঘুমালে অঙ্গ সঠিক ভাবে বিন্যস্ত থাকে। এছাড়া অনেকেই মনে করেন মেঝেতে শোয়া শরীরকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে।