যে সকল কারণে নারীদের মাসিক দেরিতে হয়
- কবিতা আক্তার
- ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নারীর নিয়মিত মাসিক হওয়া সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। তা যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে তার মানে হয়তো শারীরিক কোনো সমস্যা আছে।
দেরি হওয়ার কারণ-
বেশ কিছু কারণে পিরিয়ড সাময়িকভাবে বন্ধ থাকতে পারে বা দেরি হতে পারে। যেমন-
গর্ভাবস্থা: পিরিয়ড দেরি হলে প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন কিনা।
আরো পড়ুনঃ নিজের চোখকে সাজিয়ে তুলুন স্মোকি সাজে
বয়স: টিনেজ বয়সে ও মধ্য বয়সী নারীদের মধ্যেও অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পেছনের কারণটি হলো হরমোন।
স্ট্রেস: লম্বা সময় স্ট্রেসে থাকলে অনেকেরই মাসিক দেরিতে হতে পারে।
আর্লি প্রেগনেন্সি লস: একজন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন কিন্তু তা জানতেন না। এরপর নিজে থেকেই তার মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
এ ঘটনায় সাধারণ পিরিয়ডের তুলনায় কিছুদিন পর ভারী রক্তপাত হতে পারে যাকে অনেকেই দেরিতে মাসিক হওয়া বলে ধরে নেন।
কম ওজন: ওজন কম হলে সময়মতো পিরিয়ড নাও হতে পারে। এমনকি কিছুদিন বন্ধও থাকতে পারে।
ফাইব্রয়েডস: জরায়ুতে টিউমার এক ধরনের বৃদ্ধি হল ফাইব্রয়েডস। এগুলো পিরিয়ডের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দিতে পারে।
হরমনাল বার্থ কন্ট্রোল: জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা। যেমন- পিল, প্যাচ, ইনজেকশন, আইইউডি। এগুলো ব্যবহার করলে পিরিওড লেট হওয়া বা পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক।
আরো পড়ুনঃ এগি চিকেন স্যান্ডুইচ
স্বাস্থ্য সমস্যা: মনোনিউক্লিওসিস, ঠান্ডা, সর্দি, গলার ইনফেকশন এ ধরনের সমস্যায় পিরিয়ড লেট হতে পারে। তবে বড় কোন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন থাইরয়েডের সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এর কারণে পিরিওড লেট হতে পারে।