গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহেই যে লক্ষণ প্রকাশ পায়
- কবিতা আক্তার
- জানুয়ারি ৯, ২০২২
গর্ভধারণকালে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় পিরিয়ড মিস হলে, তখন অনেকেই টের পান তিনি গর্ভবতী। তবে জানেন কি, গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহেই শরীরে প্রকাশ পায় একাধিক লক্ষণ।
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে আপনি কিছু লক্ষণ দেখে গর্ভধারণের ইঙ্গিত পেতে পারেন। যদিও এ বিষয়ে অনেকেরই জানা নেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে পিরিয়ড মিস না হওয়া সত্বেও গর্ভধারণ করেছে অনেক নারী।
আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ ধনেপাতা
পিরিয়ড ছাড়া অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ঘটনা আছে যা গর্ভধারণের ইঙ্গিত দেয়। জেনে নিন পিরিয়ড ছাড়াও শরীরের যেসব পরিবর্তন দেখে গর্ভধারণের বিষয় নিশ্চিত হতে পারেন-
- মর্নিং সিকনেস বা সকালে ঘুম থেকে উঠে দুর্বল ক্লান্তি বোধ করা গর্ভধারণের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ মনে করা হয়। দিনে বা রাতে যে কোন সময় এমন হতে পারে। সাধারণত গর্ভধারণের একমাস পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়।
- গর্ভধারণের ৪-৬ সপ্তাহ পর বমি শুরু হয়। এসময় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন এর স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সকালে উঠে বমি ভাব হয়ে থাকে। তবে শুধুই যে সকালে বমি হবে তা কিন্তু নয়। দিনের যেকোনো সময় একাধিকবার বমি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিরিয়ড মিস করার আগে অর্থাৎ গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহেই ৮০ শতাংশ নারী বমির সমস্যায় ভোগেন। আবার ৫০ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ৬ সপ্তাহ বা তার আগে থেকে বমি অনুভূত হতে থাকে।
- স্তনে ব্যাথা, ফুলে যাওয়া বা ভারী হওয়া গর্ভধারণ অন্যতম এক লক্ষণ। কারো কারো ক্ষেত্রে গর্ভধারণের ১ম বা ২য় সপ্তাহের মধ্যেই স্তনে ব্যথা হয়।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীর ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ হয়। গর্ভধারণের প্রথম ৩ মাসে এ সমস্যা হতে পারে। হরমনে পরিবর্তনের ফলে এই ডিসচার্জ হয়।
- শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি গর্ভধারণের আরো একটি লক্ষণ। এ সময় নানা কারনে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। গর্ভধারণকালে প্রোজেস্টেরনের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি হয়।
আরো পড়ুনঃ বাজারে আসল বিশুদ্ধ গুড় চিনবেন যেভাবে
- গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে পিরিয়ড বন্ধ না হলেও ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখেন। এ ক্লান্তিও দূর্বলতা অনেক সময় গর্ভধারণের ইঙ্গিত দেয়।
- পিরিয়ডের তারিখ ছাড়াও যদি হঠাৎ কখনো ভ্যাজাইনার ব্লিডিং হয়, তাহলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করিয়ে নিন। ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং, স্পোর্টিং ও ক্রাম্পস প্রেগনেন্সির দিকে ইশারা করে।
- গর্ভধারণকালে মুড সুইং ও মাথা ঘোরা খুবই সাধারণ লক্ষণ। গর্ভধারণের সময় হরমোনে মনে নানা পরিবর্তনের কারণে আকস্মিক কান্না, হঠাৎ করে রেগে যাওয়া, আনন্দিত হওয়া, অতিরিক্ত এক্সাইটেড হয়ে পড়েন গর্ভবতী নারী।
- প্রেগনেন্সির শুরুর দিকে মাথা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে রক্ত সঞ্চালন ও হরমোন বৃদ্ধির কারণে এমন হয়। এ সময় তীব্র মাথাব্যথা পাশাপাশি ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
- বারবার টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা গর্ভধারণের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। ওভুলেশন প্রক্রিয়ার পর গর্ভধারণ সম্পন্ন হলে, দিনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব হয়।
গর্ভাবস্থার সময় শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এসময় কিডনি অধিক পরিমাণে তরল নিশ্চিত করতে শুরু করে, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।
আরো পড়ুনঃ বয়সের ছাপ কমান মাত্র ৩ ঘরোয়া উপকরণে
- গর্ভধারণের শুরু থেকে অধিকাংশ নারীর স্বাদ বদলে যায়। অনেকে এমন কিছু শাক সবজি বা খাবার খেতে শুরু করে দেন যা তারা আগে খেতে পছন্দ করতেন না। আবার পছন্দের খাবার ও অনেক গর্ভবতী নারী খেতে চান না। এছাড়া গর্ভবতী নারীদের দিন-বা-রাতে যেকোনো সময় যেকোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হতে পারে
আবার পছন্দের খাবারও অনেক গর্ভবতী নারী খেতে চান না। এ ছাড়াও গর্ভবতী নারীদের দিন বা রাতে যে কোনো সময়, যে কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হতে পারে।