কম খরচে বুক শেলফ সাজাবেন? মেনে চলুন এসব কৌশল
- ওমেন্স কর্নার
- আগস্ট ৩১, ২০২৪
ঘরে আসবাবপত্র বিশেষ নেই। অথচ ঘর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বইপত্র। মধ্যবিত্ত বাঙালির এ যেন এক দারুণ অহংকার। ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে বই-এর পাহাড় একমাত্র বুঝি বাঙালি বাড়িতেই সম্ভব। আজকাল অবশ্য বেশিরভাগ মানুষই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বই রাখার চেয়ে বই গুছিয়ে রাখতেই বেশি ভালোবাসেন। তাই ব্যক্তিগত লাইব্রেরি বা বুক শেলফে বই রাখার চল বেশ জনপ্রিয়। আর সেই বুক শেলফটিকেও বেশ আকর্ষণীয় ও সৃজনশীল করে তোলা যায় কয়েকটি কৌশল মেনে চললেই।
বই দিয়ে যায় চেনা
নির্দিষ্ট রঙের বাঁধানো বই বেশি থাকলে সেগুলি রঙের শেড অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারেন। পুরনো বাঁধাই বই একসঙ্গে গুছিয়ে রাখতে পারেন। বই অনেকটা পুরনো হয়ে গেলে তাতে নিজের পছন্দমতো রঙের মলাট দিয়ে নিন নাহয়। এবার সেগুলি রং অনুযায়ী পাশাপাশি সাজান। নির্দিষ্ট রঙের বইগুলির ফাঁকে ফুলদানি বা কোনও শোপিস দিয়ে আলাদা করুন। বইগুলিতে স্টাইলিশ, থিমযুক্ত বুকমার্ক রাখতে পারেন।
সাজের বাহার
বুক শেলফটিকে প্রাণবন্ত দেখাতে বইয়ের পাশে ছোট ফার্ন বা ট্রেইলিং গাছের টব বসিয়ে দিন। বইয়ের পাশে বনসাইও রাখতে পারেন। এছাড়াও ভিনটেজ ক্যামেরা, সেরামিক মূর্তি বা ভ্রমণের স্মৃতিচিহ্ন দিয়ে শেলফ সাজাতে পারেন। বইগুলি আকার অনুযায়ী সাজাতে পারেন। বড় মোটা বইগুলিকে পিছনের দিকে এবং ছোটো বইগুলি সামনের দিকে রাখুন। আজকাল নানা রকম স্টাইলিশ এবং রেডিমেড বুক শেলফ পাওয়া যায়। চাইলে ঘরে সেরকম কোনও বুক শেলফ রাখুন।
বই-এর ঘরে আলো
বইয়ের তাক ছোট ছোট LED লাইট বা ফেয়ারি লাইট দিয়ে সাজাতে পারেন। সন্ধ্যায় এই আলো জ্বালিয়ে দিলে সুন্দর দেখাবে। বইয়ের পাশে বাংলার নানা হস্তশিল্পের নমুনাও রাখতে পারেন। বইয়ের তাকে আয়না বসালে কিন্তু অসাধারণ দেখতে লাগে।
আরো পড়ুন:
জানুন সিলিং ফ্যানের যত্নে ৬ টিপস
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিন
রান্নাঘর পরিপাটি রাখার এই ৮ ভুল এড়িয়ে চলুন
ফুলদানিতে ফুল তাজা রাখতে কাজে লাগাতে পারেন এই ৭ উপায়
থিম-ভিত্তিক ব্যবস্থা
বইগুলিকে থিমভিত্তিকও সাজাতে পারেন। বিশেষ করে সেটি যদি সাহিত্যের ধরন বা লেখকের নাম দিয়ে হয় তাহলে তো বেশি ভালো। তাকের খালি জায়গায় আলঙ্কারিক বাক্স, ঝুড়ি বা ট্রে বসিয়ে পূরণ করতে পারেন।
পুরনো সেই তাকের কথা
বইয়ের তাকটি যদি খুব সাধারণ কাঠের প্লাই দিয়ে তৈরি হয় তাহলে সেটিকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে নিন। রঙিন কারুকাজ করা কাগজ দিয়ে সেই তাক মুড়িয়ে নিতে পারেন। আবার বিভিন্ন টেক্সচারের ওয়াল পেপার দিয়েও পুরনো প্লাই মুড়ে দেওয়া যায়। তাতেই দেখতে একেবারে নতুনের মতো লাগবে।
বইয়ের যত্ন নিন
বইয়ের তাকের ফাঁকে ফাঁকে ন্যাপথলিন রেখে দিন। বইয়ের ভিতর নিমপাতা বা দোক্তাপাতাও রাখতে পারেন। তাতে বইয়ে আর পোকা ধরবে না। নির্দিষ্ট সময় পর পর বইয়ের তাকটি পরিষ্কার করুন। বছরে অন্তত একবার পুরনো বইগুলিকে রোদে দিন। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে পুরনো মলাট খুলে নতুন মলাট পরিয়ে দিন।