বাড়িতে জায়গার অভাব? এইভাবে ভার্টিক্যাল বাগান বানিয়ে ফেলুন

  • ওমেন্স কর্নার
  • আগস্ট ৩১, ২০২৪

ছোট্ট একটি ব্যালকনি হোক কিংবা বাড়ির প্রবেশদ্বার। জায়গার অভাব হলেও সেখানে সবুজায়ন সম্ভব। বাগানের শখ থাকলে এই ছোট্ট জায়গাতেই বানিয়ে ফেলুন ভার্টিক্যাল গার্ডেন। যেতে আসতে সবুজ প্রাণবন্ত দেওয়াল দেখলে মনটাও সতেজ থাকবে। আজকাল অভিজাত হোটেলগুলিতেও ভার্টিক্যাল গার্ডেন বেশ দেখা যায়। নিজের বাড়িতে, নিজের হাতে যদি এই অপূর্ব সুন্দর ভার্টিক্যাল বাগান তৈরি করতে চান তাহলে কয়েকটি নিয়ম জেনে নিন।

সঠিক স্থান নির্বাচন করুন

বসার ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর কিংবা বাড়ির প্রবেশদ্বার ভার্টিক্যাল গার্ডেন তৈরি করতে পারেন যে কোনও জায়গায়। প্রথমে ঠিক করুন বাগানটি কোথায় করবেন। কাঠ কিংবা ধাতব বোর্ডের উপর ভার্টিক্যাল বাগান বানাতে পারেন। তবে জায়গাটি যেন নিরাপদ হয়। সূর্যালোক,বাতাস চলাচল যেন পরিমিত হয়।

উপযুক্ত পাত্র জোগাড়

মাটি, কাপড় কিংবা প্লাস্টিকের টবে গাছ পুঁততে পারেন। গাছের প্রয়োজনীয়তা বুঝে টব বাছুন। ভার্টিক্যাল বাগানের জন্য বাজারে রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণত ভার্টিক্যাল প্ল্যান্টার, ওয়াল-মাউন্ট পাত্র, ঝুলন্ত প্ল্যান্টার, পকেট প্ল্যান্টার ভার্টিক্যাল বাগানের জন্য আদর্শ। ন্যূনতম স্থানে বাগান করতে চাইলে ভার্টিক্যাল প্ল্যান্টারগুলিই আদর্শ। গোটা দেওয়াল জুড়ে বাগান করতে চাইলে বেছে নিন ওয়াল-মাউন্ট পাত্র। সিলিং বা রেলিং থেকে ঝোলানো বাগান চাইলে ঝুলন্ত প্ল্যান্টার কিনুন। দেওয়াল, বেড়া কিংবা গ্রিলের সঙ্গে লাগানো ফ্যাব্রিক পকেট প্ল্যান্টার ভেষজ এবং ছোট গাছপালার জন্য দুর্দান্ত।

আরো পড়ুন:
রান্নাঘর পরিপাটি রাখার এই ৮ ভুল এড়িয়ে চলুন 
ফুলদানিতে ফুল তাজা রাখতে কাজে লাগাতে পারেন এই ৭ উপায়
অতিথি আপনার বাসায় ঢোকামাত্র যেসব বিষয় খেয়াল করেন
জেনে নিন বাথরুমের নোংরা টাইলস থেকে ছড়ায় যেসব রোগ
শুরু হোক পথচলা

প্রথমেই বলি, ভার্টিক্যাল বাগান বানাতে গেলে কিন্তু প্রচুর ধৈর্য্য এবং সময় দরকার। প্রথমবার যখন ভার্টিক্যাল বাগান বানাবেন তখন তাড়াহুড়ো করবেন না। প্রথমে অল্প অল্প করে ছোট গাছ পুঁতুন। বেশ কিছুদিন ধরে প্র্যাকটিস করার পর বড় কাজে হাত দিন। প্রয়োজনে পেশাদারদের সাহায্য নিন।

সঠিক গাছপালা চয়ন করুন

ভার্টিক্যাল বাগানে কিন্তু যা খুশি গাছ লাগালে হবে না। আলো এবং বাতাস চলাচলের অবস্থা বুঝে ফার্ন, সুকুলেন্ট, ভেষজ, মানিপ্ল্যান্ট এবং আইভির মতো গাছ লাগাতে পারেন।

সঠিক যত্নের প্রয়োজন

গাছের পুষ্টি এবং যত্নের জন্য হালকা ওজনের পটিং মিশ্রণ ব্যবহার করা দরকার। জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থাটিও পর্যাপ্ত হতে হবে। সার হিসেবে জৈব কম্পোস্ট ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বাড়ান। ভার্টিক্যাল বাগানের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এতে সময়মতো পরিমিত জল দিতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং নিয়মিত গাছগুলি ছেঁটে নেবেন। হলুদ ও মৃত পাতা সরিয়ে ফেলুন। কীটপতঙ্গ যাতে গাছকে নষ্ট না করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাতে সার দেবেন। জল, সার ইত্যাদির জন্য সঠিক দিন ঠিক করে রাখুন।

গাছপালা সাজান সৃজনশীলভাবে

গাছ বসানোর সময় সেগুলির বৃদ্ধির হার এবং নান্দনিকতা সম্পর্কে ভেবে নিন। পিছনের দিকে লম্বা গাছ এবং সামনের দিকে ক্যাসকেডিংগুলি রাখুন। বাগানটিকে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন রং এবং টেক্সচার ব্যবহার করতে পারেন। গাছের চারপাশে কিংবা ধারে ধারে এলইডি লাইট লাগিয়ে দিতে পারেন। রাতের বেলা খুব সুন্দর দেখাবে।

পোস্ট ক্রেডিট: এই সময় 
ছবি: Independent Television


 

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment