কুমারী পূজা কী? কোন ধরনের কুমারীর পূজা করা যাবে?
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৭, ২০২২
কুমারী পূজা হলো তন্ত্র শাস্ত্রমতে অনধিক ১৬ বছরের অরজঃস্বলা কুমারী মেয়ের পূজা। আরেকটু স্পষ্ট করে বলা যায়, হিন্দু তন্ত্র শাস্ত্র মতে ১৬ বছরের কম বয়সী এমন কন্যা, যারা আদ্য ঋতুস্রাব হয়নি এবং পুরুষের সংসর্গে যোনি বিদীর্ণ হয়নি। এমন কন্যাকে দুর্গা দেবীর প্রতীকে পূজা করার নাম হলো কুমারী পূজা।
কুমারী পূজায় কোন ধরনের কুমারীর পূজা করা যাবে?
পুরোহিত দর্পণ প্রভৃতি ধর্মীয় গ্রন্থে কুমারী পূজার পদ্ধতি এবং মাহাত্ম্য বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। বর্ণানুসারে কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যেকোনো কুমারী পূজনীয়। তবে সাধারণত ব্রাহ্মণ কুমারী কন্যার পূজায় সর্বত্র প্রচলিত হলেও কোথাও বলা নেই যে ব্রাহ্মণ কন্যায় কেবল পূজ্য।
আরো পড়ুনঃ স্তনে ব্যথা কিসের লক্ষণ?
এক্ষেত্রে এক থেকে ১৬ বছর বয়সী যে কোন কুমারী মেয়ের পূজা করা যায়। অনেকের মতে দুই বছর থেকে ১০ বছরের মেয়েদের পূজা করা যায়। বয়সের ক্রমানুসারে পূজা কালে সকল বয়সের কুমারীদের বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয় এগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো...
এক বছরের কন্যাকে বলা হয় সন্ধ্যা,
দুই বছরের কন্যাকে বলা হয় সরস্বতী,
তিন বছরের কন্যাকে বলা হয় ত্রিধা মূর্তি,
চার বছরের কন্যাকে বলা হয় কালিকা,
পাঁচ বছরের কন্যাকে বলা হয় সুভগা,
ছয় বছরের কন্যাকে বলা হয় উমা,
সাত বছরের কন্যাকে বলা হয় মালিনী,
৮ বছরের কন্যাকে বলা হয় কুব্জিকা,
নয় বছরের কন্যাকে বলা হয় কালসন্দর্ভা,
১০ বছরের কন্যাকে বলা হয় অপরাজিতা,
আরো পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারি চাইলে মেনে চলুন এই ৬টি নির্দেশনা
১১ বছরের কন্যাকে বলা হয় রুদ্রাণী,
১২ বছরের কন্যাকে বলা হয় ভৈরবী,
১৩ বছরের কন্যাকে বলা হয় মহালক্ষী,
১৪ বছরের কন্যাকে বলা হয় পিঠ নায়িকা,
১৫ বছরের কন্যাকে বলা হয় ক্ষেত্রজ্ঞা,
১৬ বছরের কন্যাকে বলা হয় অন্নদা বা অম্বিকা।