সন্তানের মঙ্গল কামনায় পালিত হয় আহোই অষ্টমী। পড়ুন বিস্তারিত
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- মার্চ ২৪, ২০২১
উত্তর ভারতে আহোই অষ্টমীর ব্রত পালনের প্রথা বেশি প্রচলিত। সন্তানের মঙ্গল কামনা করে আহোই অষ্টমী পালন করেন সন্তানবতী মহিলারা। পশ্চিমবঙ্গে যেমন সন্তানের নীরোগ ও দীর্ঘ জীবন কামনায় নীলষষ্ঠী ব্রত রাখেন মায়েরা, উত্তর ভারতে তেমনই সন্তানের মঙ্গল কামনায় পালিত হয় আহোই অষ্টমীর ব্রত। এদিন সারা দিন নির্জলা উপবাস পালন করে আহোই মাতার আরাধনা করা সন্তানবতী মহিলারা। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই ব্রত পালিত হয়।
আহোই অষ্টমী পালনের নিয়মনীতি অনেকটা করবা চৌথের মতোই। করবা চৌথ বিবাহিত মহিলারা পালন করেন স্বামীর মঙ্গলকামনায়। আর আহোই অষ্টমী পালন করা হয় সন্তানের শুভ চেয়ে। করবা চৌথের দিন কয়েক পরেই পালিত হয় অষ্টমী তিথি। করবা চৌথের থেকেও আহোই অষ্টমী পালন করা অনেক বেশি কঠিন। কারণ করবা চৌথের দিন সন্ধে নাগাদ চাঁদ উঠলেও আহোই অষ্টমীতে চাঁদ ওঠে অনেক রাতে।
আরো পড়ুন : শীতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে শিশু থাকবে সম্পূর্ণ সুস্থ
সন্তানবতী মহিলারা এদিন সন্তানের মঙ্গল কামনায় চাঁদ না ওঠা পর্যন্ত নির্জলা উপবাস করেন। আবার অনেক নিঃসন্তান দম্পতি সন্তান কামনা করে এদিন কৃষ্ণাষ্টমী পালন করেন। সন্তানের কামনা করে সূর্যোদয়ের সময় মথুরার রাধা কুণ্ডে স্নান করেন তাঁরা। তারপর সারাদিন উপবাস রেখে দেবী দুর্গার কুষ্মাণ্ড রূপের আরাধনা করেন।
দিনের শুরুতে সংকল্প করেন মহিলারা, তাঁরা এই ব্রত ভক্তি ও নিষ্ঠাভরে পালন করবেন এই সংকল্প গ্রহণ করেন। অষ্ট মুখের আহোই মাতার পুজো করে দিনের শুরু করা হয়। আহোই মাতার সঙ্গে থাকে একটি সিংহ শিশু। দেওয়ালে আহোই মাতার ছবি এঁকে সেই ছবির পুজো করেন মহিলারা। পুজোস্থলে মুখ ঢাকা একটি কলসে জল ভর্তি করে রাখেন তাঁরা। সেই কলসের ওপরে একটি জলপূর্ণ ঘটি স্থাপন করা হয়।
অনেক মহিলা সন্ধ্যায় তারা দেখেই উপবাস ভঙ্গ করেন। তবে অনেকে উপবাস ভাঙতে গভীর রাতে চাঁদ ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। জনশ্রুতি অনুসারে, আহোই মাতা এক মহিলা ভক্তকে সাত পুত্রলাভের আশীর্বাদ করেছিলেন। মহিলারা আহোই মাতাকে সাতটি ঘাসের কান্ড এবং হালুয়া দিয়ে পুজো করে থাকেন।
আরো পড়ুন : মাছ খেলে শিশুর বুদ্ধি বাড়ে!