রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল?
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- মার্চ ২৫, ২০২১
তাঁকে চলে যেতেই হত! তাঁর জন্য তখন অপেক্ষা করছে সন্ত্রস্ত ধরা। সে আকুতি কাটে ঈশ্বরের কি নারীর বাহুবন্ধনে ধরা দেওয়া মানায়? তাই রাধার প্রেমে বিচ্ছেদ নেমে এলো! রাধার প্রেম, কেননা কৃষ্ণের জীবনে নারীর অভাব হয়নি তিনি তাঁর সময়ের একমাত্র পুরুষ সারা ভারত যাকে পাশে চায়। অর্জুন চান, দুর্যোধন চান- নারীদের কথা আলাদা করে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না!
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের তলপেটে ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার
কিন্তু, মথুরা নগরপতি কি কোনদিনও প্রথম প্রেমের কথা মনে পড়েনি? ঋতুপর্ণ ঘোষ বড় সুন্দর করে লিখেছিলেন গানের কথাগুলো। যদিও মথুরার নগরপতি কৃষ্ণ ছিলেন না, ছিলেন তাঁর দাদামশাই উগ্রসেন। তাহলেও রাজকাজে কৃষ্ণের একটা ভূমিকা ছিল! সেই কাজের মাঝে মাঝে বৃন্দাবনের কান্নাহাসির দোলা কি ভারত পুরুষটিকে উচাটন করে যেত না? প্রথম প্রেম তো ভুলে যাওয়া সহজ নয়! বিশেষ করে, যে তুমুল সংগ্রামের মধ্যে কৃষ্ণ আদায় করেছিলেন রাধার প্রেম, তা বড় সহজ নয়।
রাধা তো তাঁকে প্রথমে কাছে ঘেঁষতে দেন নি। ছলে, বলে, কৌশলে কৃষ্ণ ঠিক ভেঙে ফেলেন তাঁর মনের আগল। সেটা যেমন মুখের কথা নয়, তেমনই সহজ নয়, সব বাধা উপেক্ষা করে বয়সে অনেকটা বড় নারীর প্রিয় পুরুষ হয়ে ওঠাটাও! আরও সহজ নয় সেই প্রেমকে এককথায় ফেলে বেরিয়ে যাওয়া।
কিন্তু, সব কথাই তো হলো!
আর, রাধা? তাঁর কি হলো? তারপরে?
আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার !
বৈষ্ণব কবিতা তাঁদের পদাবলীতে বলেছেন ভাবসম্মিলন নামে এক প্রেমপর্যায়ের কথা। এ সেই পর্যায়, যখন প্রিয় পুরুষটির বিরহের সারা বৃন্দাবন আঁধার দেখেছেন রাধারানী। সারাদিন তাঁর একলা কাটে। কৃষ্ণের কথা ভেবে। আর, রাতে? তখনই কৃষ্ণ আসেন তাঁর কাছে। স্বপ্নে। সেই মিলন অনন্ত হয়ে ধরা দেয় রাধার জগতে। ভাবজগতে গতির মিলনকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বর্ণনা করেছেন বৈষ্ণব কবিতা।