৫১ পীঠের ৪ শক্তিপীঠ কোথায় আছে আপনি জানেন ?
- সংগীতা চৌধুরী
- এপ্রিল ২৮, ২০২১
দক্ষের কন্যা ছিলেন সতী তাই তার অপর নাম দাক্ষায়ণী। রাজনন্দিনী সতী পিতার অমতেই বিবাহ করেছিলেন শ্মশানচারী ভোলা মহেশ্বরকে। দক্ষের বাড়িতে একবার বিশাল যঞ্জ হয় ও সেখানে মহেশ্বর ব্যতীত সকল দেবতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। স্বামীর জন্য যঞ্জ ভাগ সুনিশ্চিত করতে ও পিতাকে অধর্মের হাত থেকে রক্ষা করতে সতী দক্ষের যঞ্জে উপস্থিত হন ও সেখানেই পতিনিন্দা শুনে দেহত্যাগ করেন।
এরপর মহেশ্বর সেখানে উপস্থিত হন ও সতীর দেহ নিয়ে তান্ডব নৃত্য শুরু করেন। কোনো উপায় না দেখে মহেশ্বরকে থামাতে গিয়ে ভগবান বিষ্ণু তখন সুদর্শনের দ্বারা সতীর দেহকে চূর্ণ করে দেন। সতীর দেহের এই খন্ডগুলি যেখানে যেখানে পতিত হয়েছিল,সেখানেই শক্তিপীঠ গড়ে উঠেছিল। মোট ৫১টি শক্তিপীঠের নাম জানা যায়। এই শক্তিপীঠগুলি ভারত ও ভারতের বাইরে পাকিস্তানে ও রয়েছে।
আরো পড়ুন : মজাদার ললিপপ কাবাবের রেসিপি!
পুরানে উল্লিখিত এই ৫১ পীঠের নাম ও সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে লেখা থাকলেও এখনও পর্যন্ত ৫১ টি শক্তিপীঠের মধ্যে ৪ টি শক্তিপীঠ যে ঠিক কোথায় তা আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মোট ৪৭ টি শক্তিপীঠের বিষয়ে বিস্তারিত জানা গেছে। কিন্তু এমনও ৪ টি শক্তিপীঠ আছে যাদের বিষয়ে এখনো জানা যায়নি বা সেগুলি ঠিক কোথায় তা খুঁজে বার করা সম্ভব হয়নি কারোর পক্ষেই।
১। রত্নাভল শক্তিপীঠ-পুরাণে বলা হয়েছে যে দেবী সতীর দক্ষিণ স্কন্ধ এই অংশে পতিত হয়েছিলো। এই পীঠে সতীকে কুমারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে আর শিবকে 'ভৈরব' হিসেবে বলা হয়েছে। পুরাণে বলা হয় যে এই পীঠস্থান টি চেন্নাইয়ের কাছাকাছি কোথাও আছে, কিন্তু ঠিক কোথায় তা আছে তা আজও জানা যায়নি।
আরো পড়ুন : আলুর দম
২। কালমাধব শক্তিপীঠ-এখানে দেবী সতীর নিতম্বদেশ পতিত হয়েছিল। এখানে সতীর নাম কালমাধব ও পীঠ রক্ষক ভৈরবের নাম হলো 'অসিতানন্দ'। এই পীঠস্থানের হদিশ ও আজও জানা যায়নি।
৩। শ্রীলঙ্কার শক্তিপীঠ-এখানে দেবীর গহনা পড়েছিল তাই দেবীর নাম এখানে ইন্দ্রাক্ষী। পীঠ রক্ষক ভৈরবের নাম রাক্ষসেশ্বর। এই পীঠস্থান কোথায় আছে তার হদিশ আজও পাওয়া যায়নি।
৪। পঞ্চ সাগর শক্তিপীঠ-পুরাণ অনুযায়ী এখানে সতীর চোয়াল পতিত হয়েছিল। দেবী সতীর নাম এখানে বারাহী। এই শক্তিপীঠ আজও রহস্যে ঢাকা। আসলে কোথায় এই পীঠ তা কেউই জানেন না।
আরো পড়ুন : টমেটো সারাবছর সংরক্ষণের দুটি দারুন উপায়!