রাধাকে কৃষ্ণকলঙ্কিনী বললেও রাধা রাগ করেনা কেন?
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুন ২৪, ২০২১
একদিন কৃষ্ণ রাধাকে বললো, রাধে তোমাকে সবাই কৃষ্ণকলঙ্কিনী কৃষ্ণকলঙ্কিনী বলে তুমি প্রতিবাদ করতে পারো না। রাধা বললো, যদি লোকে আমাকে শুধু কলঙ্কিনী বলতে তাহলে হয়তো প্রতিবাদ করতাম। কিন্তু আমাকে সবাই কৃষ্ণকলঙ্কিনী বলে ডাকে তাই প্রতিবাদ করিনা। কারণ যত পার আমায় কৃষ্ণকলঙ্কিনী বলে ততবার আমি তোমার কৃষ্ণ নামটি শুনতে পাই, কলঙ্কিনী শুনতে পাইনা।
সত্যি তো , যে হৃদয় লজ্জায় আবৃত সে হৃদয়ে প্রিয়তমের স্থান কোথায়! বৃন্দাবনের নিধুবনে রাধাকে কৃষ্ণ বললো, রাধে তোমাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি, কাঁদিয়েছি। তবুও তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। তুমি হলে আমার প্রেমের গুরু। তোমার এই প্রেমের ঋণ এ জন্মে পরিশোধ করতে পারবোনা।
আরো পড়ুনঃ গ্যাসের চুলায় কেক বানানো
আগত কলিযুগে তোমার হৃদয় আর আমার শরীর নিয়ে জন্ম নেবো। আর তোমার প্রেমের ঋণ শোধ করে দেব। তাই কলিযুগে গৌবিন্দের গৌ রাধার রা নিয়ে গৌরা রুপে জন্ম গ্রহণ করলেন। তিনি জীবের মুক্তির জন্য নাম নিলেন হরিনাম।
নবদ্বীপে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কাটোয়ার কেশব ভারতীর কাছে দীক্ষা নেন। দুই মাতাল জগাই আর মাধাইকে উদ্ধার করেন। তারপর হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ বলতে বলতে, কৃষ্ণ নামে বিভোর হয়ে, কৃষ্ণ নামে আত্মহারা হয়ে নগ্ন পায়ে ছুটে চললেন নীলাচলে (পুরী)।
যখন তার মধ্যে রাধাভাব জাগে তখন কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে বিভোর হয়ে যান। তার পেছনে ছুটে চলেছে অসংখ্য ভক্ত। পুরি থেকে দাক্ষিণাত্যে এবং দাক্ষিণাত্য থেকে ফিরে পুরীতে। পুরি থেকে মথুরা বৃন্দাবন।
আরো পড়ুনঃ সন্তান জন্মের কতোদিন পর যৌনজীবন ?
বৃন্দাবনের প্রবেশ করে দ্বাপরের মনে পড়ে গেল। তারপর কাশি প্রয়াত ত্রিবেণী নগ্ন পদব্রজে ভ্রমণ করে নাম বিলিয়ে দিলেন। নামের মহিমা না থাকলে এটা কি সম্ভব?