পুরুষের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত স্তন বা গাইনাকোমাসিয়ার সর্বাধুনিক চিকিৎসা
- ডা.ইকবাল আহমেদ
- মার্চ ১১, ২০১৮
পুরুষদের স্তন বড় হয়ে যাওয়াকে ডাক্তারী পরিভাষায় গাইনিকোমাসিয়া বলা হয়। অবস্থাটি অনেক পুরুষের জন্যই বিব্রতকর সামাজিক সমস্যা তৈরি করে। আক্রান্ত পুরুষ নিজেকে গুটিয়ে রাখেন,মানুষের কৌতুহলি দৃষ্টি এড়াতে পোষাকের কারিশমায় সুঢৌল বক্ষ লুকানোর চেষ্টা করেন। এ সমস্যা হলেই সব সময় যে রোগের কারণে হয়েছে এমনটি ভাবা ঠিক নয়। যেমন বয়ঃসন্ধিকালে স্বাভাবিকভাবেই অনেকেরই এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।শতকরা ৫০ জন কিশোরের এ সমস্যা হতে পারে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যথা থাকতে পারে এবং এক থেকে ২ বছরের মধ্যে সাধারণত স্বাভাবিক হয়ে যায়।নবজাতক বা চল্লিশোর্ধ দের ও এ সমস্যা হতে পারে।স্তন বড় হয়ে যাওয়ার মুল কারন মেয়েলি হরমোন ইস্ট্রোজেনের আধিক্য বা পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন কমে যাওয়া। পুরুষদের ব্রেস্ট বা স্তন বৃদ্ধি হওয়ার লক্ষণ অনেক সময় শরীরের মারাত্মক কিছু অসুখের প্রথম লক্ষণ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। যেমন অণ্ডকোষে টিউমার হলে এ সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য ও পুরুষ স্তন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে পারে। চিকিৎসার পূর্বে রোগের কারণ মূল্যায়ন পুর্বক তাকে ভাল করে শারীরিক পরীক্ষা, বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ ও অবস্থা নির্ণয় করে চিকিৎসা দিতে হয়।
গাইনাকোমাসিয়ার সর্বাধুনিক চিকিৎসা : সার্জারি হলো গাইনাকোমাসিয়ার একমাত্র চিকিৎসা। তবে যারা সার্জারি এড়াতে চান তাদের জন্য সুখবর হল লাইপোসাকশন।লাইপোসাকশন এমন একটি পদ্ধতি যাতে না কেটে শুধু ফুটো করে একটি বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে স্তন বৃদ্ধিকারক চর্বি বের করে দেয়া।সার্জারির তুলনায় এই আধুনিক পদ্ধতির রেজাল্ট ভাল।এতে হাসপালেও থাকতে হয় কম সময়।