জীবনে সুখী হতে চাইলে যা যা করবেন
- কবিতা আক্তার
- মার্চ ২১, ২০২২
পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভালোবাসা বাড়ায়, অর্থাৎ আপনার নিজের গুরুত্ব অনুধাবনে আপনাকে সহায়তা করে।
সুতরাং সম্পর্ক ধরে রাখা আর নতুন সম্পর্ক গড়া সুখী হওয়ার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আরো পড়ুনঃ চুলের কালো রং ফিরিয়ে আনুন এক তেলের জাদুতেই
- সুখী হতে হলে অন্যের সেবা করাও জরুরি। কাউকে সহায়তা করলে শুধু যে সে উপকৃত হয় তাই নয়, আপনাকেও তার সুখী এবং সুস্বাস্থের অধিকারী করবে।
কাউকে সহায়তার মাধ্যমে তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক মজবুত করে নিতে হবে। আর অন্যকে দেয়া বলতে শুধু অর্থ বোঝায় না কাউকে সময় দেওয়া, বুদ্ধি পরামর্শ এবং ইতিবাচক অনুপ্রেরণা দেওয়াও এক ধরনের সহায়তা।
- আমাদের দেহ এবং মন একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে মন ও উৎফুল্ল থাকে।
শরীরচর্চা অবসাদ দূর করতে সহায়ক। তার মানে এই নয় যে প্রতিদিন আপনার ম্যারাথনে অংশ নিতে হবে। নিত্যদিন করা যায় এমন কিছু বেছে নিতে পারেন, মাঝে মাঝে বাইরে ঘুরতে যেতে। আর পর্যাপ্ত ঘুম ও জরুরি।
- ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাল অনুভব করাটা আমাদের সুখী রাখে। আমাদের এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত যা পূরণ করতে আমাদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা থাকবে।
তবে এমন লক্ষ্যের পেছনে ছুটবে না যা আসলে পূরণ করা অসাধ্য। সেরকম কিছু করলে বরং পরিশ্রান্ত হয়ে পড়বেন যা অর্থহীন।
আরো পড়ুনঃ মচমচে চিকেন ফ্রাই
- আপনি হয়তো আশেপাশের অনেক কিছুর দিকে খেয়াল করছেন না। আরো মনোযোগী এবং সচেতন হতে আশেপাশে কি ঘটছে সেদিকে মনোযোগ দিন।
সম্পর্কের মধ্যে নতুন কিছু করা যায় কিনা দেখুন, কিংবা বাসা থেকে অফিসে হেঁটে আসার সময় চারপাশের প্রকৃতির দিকে তাকান। এসব একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেবে।
- ইতিবাচক অনুভূতির শুধু ক্ষণস্থায়ী সুফল আনে না, দীর্ঘমেয়াদে ও তা শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যদিও আমাদের জীবনের উত্থান-পতন আছে, তবে যে কোনো পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকটা চিন্তা করলে সেখান থেকে ভালো কিছু নেয়া সম্ভব হতে পারে।
- নতুন কিছু শেখার মানসিকতা আমাদের শরীর এবং মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফল আমাদের নতুন নতুন ধারণা তৈরির পথ সুগম হয়।
আরো পড়ুনঃ খুব সহজেই স্নানঘর সতেজ রাখুন
উৎসাহী মনোবৃত্তি ধরে রাখতেও সহায়ক এই চেষ্টা। গান শেখা, নতুন কোন ক্লাবে যোগ দেন কিংবা নতুন কোনো খেলা শুরু নতুন কিছু শেখার মধ্যেই পড়ে।
- আমাদের জীবনে শুধু যে ইতিবাচক ঘটনাই ঘটে তা নয়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও শিকার হই আমরা, যার অনেক কিছু হয়তো আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
অনেক সময় সমস্যা তৈরিতে আমাদের হাত না থাকলেও সেই সমস্যা কিভাবে মোকাবেলা করবেন সেটা আপনি নির্ধারণ করতে পারেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেকে প্রস্তুত রাখুন ভেঙে পড়বেন না।
- জীবনে কেউই নিখুঁত নয়। তা সত্বেও আমরা নিজেদের ভেতরটা অন্যদের বাহিরের সঙ্গে তুলনা করি। নিজের ত্রুটি গুলো নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে কিন্তু আপনি যা পেয়েছেন তা উপভোগের সময়টাও চলে যায়।