বাচ্চাকে সবসময় " না " বলেন? এর প্রভাব জানেন?

  • ফারজানা আক্তার 
  • জুন ৩০, ২০২২

আপনি আপনার জীবনে কোন কথাটা সবথেকে বেশি অপছন্দ করেন বলেন তো ? নিশ্চয় কারো মুখ থেকে " না " শোনা, তাই না ? কিন্তু একবারো ভেবে দেখেছেন এই " না " কথাটা আমরা বাচ্চাদের দিনে কতবার বলি ?

আপনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যদি এই " না " এতো অপছন্দ করেন, বাচ্চারা কিভাবে সহ্য করছে ? এখন হয়তো বলবেন বাচ্চাদের চাওয়াগুলো এমন হয় যেখানে "না" বলা আবশ্যক। আমি আপনার সাথে দ্বিমত করবো না। তবে বলবো সরাসরি "না" বলে কথাটা একটু অন্যভাবে বলতে পারেন।  

যেমন আপনার বাচ্চা স্কুল থেকে ফেরার পথে বায়না করলো সে আইসক্রিম খাবে। এইদিকে আইসক্রিম খেলেই তার ঠান্ডা লাগে, জ্বর চলে আসে। আপনি তাকে সরাসরি " না " বলে দিলেন। এতে কি হয় জানেন ? বাচ্চার মনে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। আপনার সম্পর্কে তার মনে নেগেটিভ ধারণা জন্মে। 

আরো পড়ুন : কারণে অকারণে মন খারাপ হলে করণীয়

অভিভাবকদের মুখে অতিরিক্ত " না " শুনে বাচ্চারা ক্রমশ জেদি হয়ে উঠে। অভিভাবকদের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেদের রাগ প্রকাশ করতে থাকে। 

তাহলে মনে প্রশ্ন জাগে এই ক্ষেত্রে করণীয় কী ?

তাকে সরাসরি " না " বলে এর ক্ষতিকর কারণটা জানান। যেমন আইসক্রিম খেলে তার ঠান্ডা লাগবে, জ্বর আসবে। জ্বর আসলে তার কষ্ট হবে। স্কুল মিস হবে। স্কুল মিস হলে বন্ধুদের সাথে দেখা হবে না। বন্ধুদের সাথে মজার গল্প এবং খেলাধূলা হবে না। এই ব্যাপারগুলো তার কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। 

আপনি যখন প্রতিটা " না " - এর বিপরীতে এর কারণগুলো উল্লেখ করে বাচ্চার সাথে শেয়ার করবেন; দেখতে পাবেন বাচ্চারা সহজে মেনে নিচ্ছে। এবং পরবর্তীতে নিজ থেকেই এই ব্যাপারগুলো এড়িয়ে চলবে। বাচ্চারা পজেটিভ মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে। 

তো আজ থেকেই আপনি বাচ্চাদের " না " বলা বন্ধ করুন এবং পরিবর্তনটা নিজ চোখেই দেখুন। 

সবার জন্য শুভকামনা।      

আরো পড়ুন : বার্ধক্যের একাকীত্ব দূর করার উপায়

 

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment