মানসিক চাপ বাড়ে আপনারই অভ্যাসে
- কবিতা আক্তার
- জুলাই ২, ২০২২
কাজের নানা চাপে নিজেদের দিকে খেয়াল রাখার কথা ভুলেই যাই আর এতে বাড়ে মানসিক চাপ। আপনি মানসিক চাপের কারণ খুঁজে না পেলেও আপনার প্রতিদিনের অভ্যাস এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানসিক চাপের বিভিন্ন কারণ। সেগুলো বদলাবে না পারলে আপনি ধীরে ধীরে আরো বেশি মানসিক চাপে অসুস্থ হতে থাকবেন।
অস্বাস্থ্যকর খাবার: আপনি কি এমন খাবার খাচ্ছেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য কেমন থাকবে। যখন স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন তখন শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
আরো পড়ুনঃ নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS পাথর এর কারণ
কিন্তু আপনি যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে থাকেন তাহলে তার প্রভাব পড়বে মানসিক স্বাস্থ্যেও। আপনি নানা ধরনের মানুষের সমস্যা অনুভব করবেন। এটি বাড়তে দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি থাকবে না।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এর অভাব: আপনি যদি চাকরিজীবী হন তাহলে তো কথাই নেই, দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে কম্পিউটারের সামনে বসে। এছাড়াও অনেকে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করতে বেশি পছন্দ করেন।
দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ইত্যাদি নিয়ে বসে থেকে। যে কারণে কমতে থাকে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ। এভাবে বসে থেকে থেকে আপনি যে আপনার মানসিক সমস্যা বারোটা বাজাচ্ছেন।
যদি আলাদাভাবে কোন ব্যায়াম নাও করে থাকেন তবে অন্তত একটু হাঁটাহাঁটি বা সাইকেল চালানোর মতো অভ্যাসগুলো করুন।
ঘরের কাজ করলেও তা ব্যায়ামের মত সুবিধা দিতে পারে। বাড়ি ঝাড়ু দেওয়া, ঘর মোছা এইসব হতে পারে ভালো ব্যায়াম। এতে আপনার শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ হবে। ফলে ভালো থাকবে মন।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে গেছে? ঝটপট ত্বককে করে তুলুন উজ্জ্বল
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে: ঘুমকে অনেকেই মনে করেন সময় নষ্ট করা। আসলে তা নয়। দিনের বেলা নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরী। ঘুমের চক্র নষ্ট হলে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে শরীর ও মনে।
অনেকের বদ অভ্যাস হলো ঘুমের সময় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে সময় কাটানো। এটি আপনার ঘুমকে ব্যাহত করে। তাই এ অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। কারণ ঘুম না হলে আপনার মানসিক অবস্থার ওপর তার প্রভাব পড়বেই।