ডিপ্রেশনের যে লক্ষণগুলো অবহেলা করলে বিপদ!
- কবিতা আক্তার
- সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা সাধারণ কোন বিষয় নয়। অনেকেই কঠিন এই মানসিক ব্যাধির সঙ্গে দিনের পর দিন লড়াই করেন নিজের অজান্তেই।
দীর্ঘদিন এই ব্যাধি পুষে রাখলে তা মৃত্যু ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে। কারণ বিষন্নতার কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আত্মহননে মারা যাচ্ছে লাখো মানুষ। তাই সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা জরুরী।
আরো পড়ুনঃ সুস্থ শিশুর কিছু চিহ্ন জেনে রাখুন
শুধু যে বড়দের মধ্যে ডিপ্রেশন দেখা দেয় তা কিন্তু নয় ছোটরাও এই ব্যাধির কারণে নানা ভুল কর্মকান্ড করে বসে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, ডিপ্রেশনের কোন লক্ষণগুলো অবহেলা করবেন না..
ক্লান্তি: বিষন্নতায় একজন ব্যক্তিকে আরো ক্লান্ত ও অলস করে তোলে। ডায়েট ও শরীরচর্চা যতই করুক না কেন সব সময়ই ক্লান্তির অনুভূতি হতে পারে। কোন কারণ ছাড়া ক্লান্তির কিন্তু অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই এই বিষয় নিয়ে অবহেলা করবেন না।
মনোযোগে অসুবিধা: যারা ডিপ্রেশনে ভোগেন তারা কোন কাজে একাগ্রতার সঙ্গে মন বসাতে পারেন না। মনে সব সময়ই নেতিবাচক বিভিন্ন চিন্তা খেলা করে। চাইলেও তারা এসব দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন না।
আগ্রহের অভাব: বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহী হতে পারেন না, এমন রোগীরা যদিও বা কাজটি তার পছন্দের হোক না কেন। সব কাজেই এদের আগ্রহ ও উৎসাহ কম দেখা দেয়।
অনিদ্রা: ডিপ্রেশন গুরুতর আকার ধারণ করলে রোগী ভোগেন অনিদ্রায়। ঘুমের ধরনের পরিবর্তন আসাও বিষণ্ণতার আরো এক লক্ষণ যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক।
আরো পড়ুনঃ গ্যাসের সমস্যায় ঘরোয়া টোটকা
ক্ষুধা কমে যাওয়া: ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ডায়েটে পরিবর্তন আনেন ও কম খেয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করেন। তবে কোনো কারণ ছাড়াই যদি দেখেন আপনার ক্ষুধা কমে গেছে তাহলে ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
ডিপ্রেশনের রোগীরা বিভিন্ন বিষয়ে ভাবতে এতটাই মগ্ন হন যে দৈনন্দিন ক্রিয়া-কলাপে মননিবেশ করতে পারেন না।